নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
স্মার্টফোন পুরোনো হয়ে গেলে তার কার্যক্ষমতা কমে আসে। স্ক্রিনে পড়ে আচঁড়ের দাগ। বাইরের অংশে ময়লা পড়ে হয়ে যায় ফ্যাকাশে। তবে চাইলেই স্মার্টফোন নতুনের মতো করে রাখা সম্ভব। এর জন্য অতি সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই হয়। আজ সেদিকে নজর দেওয়া যাক।
কেস ও স্ক্রিন প্রটেক্টর
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- কেস ও স্ক্রিন প্রটেক্টর। নতুন কেনা বা কিছুদিন ব্যবহার হয়েছে, এমন স্মার্টফোনগুলোর ক্ষেত্রে সবসময় কেস এবং স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ফোন যদি আচমকা পড়েও যায়, ভাঙার সম্ভাবনা কম থাকে।
ফোন নিয়মিত পরিষ্কার রাখা
স্মার্টফোনের বাইরের অংশ সময়মতো পরিষ্কার করার জন্য সবসময় একটি ছোট মাইক্রো-ফাইবার কাপড় সঙ্গে রাখা উচিত। এছাড়াও, মনে রাখা দরকার, পরিষ্কারের জন্য পানি বা অন্যান্য পরিষ্কারকারক কোনো পদার্থ ব্যবহার করা উচিত নয়, যা স্মার্টফোনের পৃষ্ঠে আর্দ্রতা নষ্ট করে।
অ্যাপ দিয়ে হোম স্ক্রিন ভরে রাখা যাবে না
কম্পিউটার বা ল্যাপটপে অনেক অ্যাপ থাকলে ডিভাইস স্লো হয়ে যায়। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও খাটে একই কথা। এতে কাজ করতে অসুবিধা হয়। এটা স্মার্টফোনের ব্যাটারিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর এ সমস্যা দূর করতে শুধু প্রয়োজনীয় অ্যাপ ও উইজেটগুলো রাখতে হবে।
অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল
ফোনে একটি অ্যান্টিভাইরাস ডিভাইসে থাকা ম্যালওয়ার শনাক্ত করে। গুগল প্লে স্টোরে এ রকম বেশ কয়েকটি অ্যাপ রয়েছে। এ স্টোর থেকে সেরাটি পছন্দ করে নেওয়া যাবে। কোনো হুমকি থেকে ফোন রক্ষা করা ছাড়াও এটি স্মার্টফোনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
স্মার্টফোন চালনাতেও বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
-কোনো অ্যাপ চালু রেখেই তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত নয়।
-ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ব্যবহারের পর সেটি বন্ধ করে রাখতে হবে। এগুলো চালু থাকলে ফোন স্লো হয়ে যাবে।
-চলমান ওয়ালপেপার ব্যবহার ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। তাই এটা ব্যবহার না করাই ভালো।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/টিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন