নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
দেশে একটা সময় ছিল যখন ফোনে কথা বলেতে মিনিটে দশ টাকাও খরচ হতো। আর এখন মুঠোফোনে শুধুমাত্র একটা অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে কথা বলা যায় বিনামূল্যে। এজন্য দরকার শুধু ইন্টারনেট সংযোগ এবং মোবাইল ভিত্তিক কিছু অ্যাপ্লিকেশন। বলতে গেলে আপনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনা মূল্যে দেশে ও বিদেশে অডিও ও ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন প্রায় বিনামূলেই।
চলুন যেনে নেওয়া যাক কথা বলার অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক জনপ্রিয় পাঁচটি অ্যাপ সম্পর্কে:
১. ফেসবুক মেসেঞ্জার
ফেসবুকের হাত ধরে ফেসবুক মেসেঞ্জার কথা বলার অ্যাপ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। হ্যাঁ, এ কথা সত্যি যে এখনো ফেসবুক মেসেঞ্জারের অনেক উন্নয়ন প্রয়োজন। আমরা ইতিমধ্যেই অনেক সফটওয়্যার আপডেটও পেয়েছি। শুধু সফটওয়্যারটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে বিনা খরচে আপনি দেশে বিদেশে কথা বলতে পারবেন।
২. গুগল ডুয়ো
সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকারী ভয়েস কলিং অ্যাপ্লিকেশন গুগল ডুয়ো। অ্যাপলের ফেসটাইমের জবাবে গুগল বাজের নিয়ে আসে গুগল ডুয়ো। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি প্লে স্টোরের যে কোন ভয়েস ও ভিডিও কলিং অ্যাপ্লিকেশনের তুলনায় উন্নত সাউন্ড ও ভিডিও কোয়ালিটি পাবেন। নির্বিঘ্নে কথা বলতে এই অ্যাপ্লিকেশন অত্যন্ত কার্যকরী। গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনা খরচে গুগল ডুয়ো ইন্সটল করা যাবে। আর এটি ব্যবহার করতে কোনো খরচ নেই।
৩. গুগল হ্যাঙ্গাউটস
এটি গুগলের ফ্ল্যাগশিপ ভিডিও কলিং এপ্লিকেশন। গুগল হ্যাঙ্গাউটসের মাধ্যমে একসাথে ১০ জনের সাথে ভিডিও কলিং এ যুক্ত হওয়া যায়। অ্যাপটির আধুনিক ইন্টারফেস সবাইকে আকর্ষণ করবে। আর গুগল হ্যাঙ্গাউটস ব্যবহার করাও খুব সহজ। এই অ্যাপটিও গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড ও ব্যবহার করা যাবে।
৪. ইমো
ইমো একটি সাধারণ ইন্টারফেসের কার্যকরী ভিডিও কলিং অ্যাপ। আমাদের দেশে মধ্য বয়সীদের মাঝে ইদানীং এই অ্যাপটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি এন্ড্রয়েড ও আইওএস দুই অপারেটিং সিস্টেমে ব্যাবহার করা যায়। অ্যাপলের স্টোর ও গুগল প্লে স্টোর থেকে ইমো বিনামূল্যে ডাইনলোড করা যাবে।
৫. স্কাইপ
ভয়েস ও ভিডিও কলিং করেছেন কিন্তু স্কাইপের নাম শোনেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে স্কাইপের নিম্ন মানের অডিও ও ভিডিও কোয়ালিটি এর জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিয়েছে। আর ফেসবুকের সাথে প্রতিযোগিতায় পর স্কাইপ আরও বেশি জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। স্কাইপ এখনও বিনামূল্যে ডাউনলোড ও ব্যবহার করতে পারবেন।
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন