ইনসাইড সাইন্স

বিশ্বের ১০ ব্যয়বহুল গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

চারচাকার যান গাড়ি। আধুনিক জীবন যাত্রাকে সহজ করেছে বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার। আমাদের দেশে গাড়ি বিলাসী পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পশ্চিমা বিশ্বে তা দৈনন্দিন জীবনযাপনের চাহিদা। অবশ্য সেখানে অনেক সময় গাড়ি হয়ে ওঠে আভিজাত্য চর্চার প্রতীক। গাড়ি নিয়ে বিশ্বজুড়ে আগ্রহের শেষ নেই। শক্তিমত্তা, গতিবেগ, গঠনশৈলীর অনন্যতার কারণে অনেক গাড়িই ব্যয়বহুল। বিশ্বের এমন ১০ টি ব্যয়বহুল গাড়ির কথাই জানাবো আজ।

১০. এটিএস জিটি ৬৫০বিএইচপি (ATS GT 650 BHP)



এটিএস জিটি স্পোর্টস কার তৈরি করে। তাদের নতুন সংযোজন এটিএস জিটি ৬৫০বিএইচপি। গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩.৮ লিটারেরে টার্বো ভই-৮ইঞ্জিন। গাড়িটি মাত্র তিন সেকেন্ডে ৬২ মাইল প্রতি ঘণ্টার গতি তুলতে পারে। আর এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা। এই টু সিটার গাড়িটির ওজন ১৩’শ কেজি। গাড়িটির মূল্য ১৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

৯. নিও ইপি৯ (NIO EP9)



নিও ইপি৯ গাড়িটির প্রতিটি চাকার নিজস্ব মোটর রয়েছে। আর প্রতিটি মোটরের শক্তি ৩২৫.২৫ হর্স পাওয়ার। গারিটির ইপি৯ ব্যাটারি ৪২৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেতে পারে। এছাড়া গাড়িটি ২.৭ সেকেন্ডে ০-৬২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে সক্ষম। এটি সর্বোচ্চ ৩১৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে চলতে পারে। গাড়িটির মূল্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলার।

৮. হেনেসি ভেনম এফ৫ (Hennessey Venom)



১৬ লাখ মার্কিন ডলার গাড়িটির মূল্যের চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের হাইপার-কারটি বাজারে আসে ২০১১ সালে, তবে পরে আরো কিছু আপডেটেড ভার্সন বের হয়। আমাদের এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি হর্স-পাওয়ার রয়েছে এই গাড়িটিরই। ১২৪৪ হর্স-পাওয়ার এর এই গাড়িটির ওজনও প্রায় ১২৪৪ কেজি। এতে রয়েছে GM LS7 7.0 liter twin-turbocharged V8 ইঞ্জিন। এই গারিটিও মাত্র ২.৫ সেকেন্ডে ০-১০০ কিমি গতিতে পৌঁছে। এই গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৪৩৫ কিমি

৭. ল্যাম্বরগিনি সেন্টেনারিও (Lamborghini centenario)



বিশ্বের সবচেয়ে দামী গাড়ির তালিকায় অন্যতম ল্যাম্বরগিনি সেন্টেনারিও। গাড়িটির মূল্য ১৯ লাখ মার্কিন ডলার। এই গাড়িটি ২০১৬ সালে, ইতালিতে তৈরি করা হয়। এই সুপারকার টিতে রয়েছে 6.5 litre V12 ইঞ্জিন। এবং এটি ৭৭০ হর্স-পাওয়ার এর শক্তি সম্পন্ন ইঞ্জিন। এই কার টির ওজন প্রায় ১৫২০ কেজি। এই গাড়িটি মাত্র ২.৮ সেকেন্ডে ১০০ কিমি গতি তুলতে সক্ষম। ল্যাম্বোরগিনি কোম্পানির এই সুপার কার টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৩৫০ কিমি। পৃথিবীতে মাত্র ৪০ টি ল্যাম্বরগিনি সেন্টেনারিও গাড়ি রয়েছে।

৬. কোয়েনসেজ রেজেরা (Koenigsegg regera)



এই গাড়িটি তৈরি করেছে বিখ্যাত সুইডিশ কোম্পানি কোয়েনসেজ, ২০১৬ সালে। এই গাড়িটির ওজন প্রায় ১৪২৮ কেজি। এই গাড়িটিতে রয়েছে ৫ লিটারের ভি৮ টুইন টার্বো ইঞ্জিন। সারা পৃথিবীতে মাত্র ৮০ টি এই একই ধরনের কার রয়েছে, যার মধ্যে ৪০ টি বিক্রি হয়ে গেছে। এই গতি দানব ঘণ্টায় প্রায় সর্বোচ্চ ৪১০ কিমি গতি তুলতে পারে এবং মাত্র ২.৮ সেকেন্ডেই ১০০ কিমি গতিতে চলে যায়। বর্তমানে এই গাড়িটি পেতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

৫. ল্যাম্বরগিনি সেন্টেনারিও রোডস্টার (Lamborghini centenario Roadster)



ল্যাম্বরগিনি সেন্টেনারিও রোডস্টারে ব্যবহার করা হয়েছে ৭৭০সিভি এস্পাইরেটেড ভি১২ ইঞ্জিন। গাড়িটি মাত্র ২.৩ সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে পারে। এই উচ্চ গতির গাড়িটির মূল্য ২৩ লাখ মার্কিন ডলার ।

৪. পেগানি হুয়াইরা রোডস্টার (Pagani Huayra Roadster)



পেগানি হুয়াইরা রোডস্টার তৈরি করেছে বিখ্যাত গাড়ির কোম্পানী পেগানি অটোমোবিল। এই সুপার কার টির ওজন মাত্র ১৩৫০ কেজি। যা এই গাড়িটিকে অবিশ্বাস্য গতিতে উঠতে সাহায্য করে। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় প্রায় ৩৮৩ কিমি। এটি ০-১০০ কিমি গতি তুলতে মাত্র ২.৮ সেকেন্ড সময় নেয়। পৃথিবীতে মাত্র ১০০ টি Pagani Huayra গাড়ি বানানো হয়েছে। গাড়িটিতে রয়েছে 6 ltr V12 ইঞ্জিন। গাড়িটির মূল্য ২৪ লাখ মার্কিন ডলার।

৩. বুগাতি চিরন (Bugatti Chiron)



২০১৬ সালে ফ্রান্স বুগাতি চিরন তৈরি করে। তবে গাড়িটি বাজারে আসে ২০১৭ এর শুরুতে। এই সুপারকার টিতে রয়েছে শক্তিশালী ৮ লিটারের ডব্লিউ ১৬ ইঞ্জিন। এই কার টির ওজন প্রায় ১৫০০ কেজির মত। এই গাড়িটি মাত্র ২.৪ সেকেন্ডে ১০০ কিমি গতি তুলতে সক্ষম, যা এই তালিকায় আর কোন কার এর পক্ষে সম্ভব না। বুগাতি কোম্পানির এই সুপার কার টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪২০ প্রায় কিমি এ লক করা। এটি করা হয়েছে নিরাপত্তার কথা ভেবেই। কারণ, গাড়িটি আসলে ৪৬৩ কিমি/ঘণ্টা এর মত গতি তুলতে পারে। পৃথিবীতে মোট ৫০০ টি এই গাড়ি বানানো হবে। আর এই গাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৬ লাখ মার্কিন ডলার।

২. ম্যাকলারেন পি১ জিটিআর (Mclaren P1 GTR)



যুক্তরাজ্যের গাড়ি তৈরির বিখ্যাত কোম্পানি ম্যাকলারেন পি১ জিটিআর গড়িটি তৈরি করেছে। ম্যাকলারেন পি১ প্রতি ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতিতে চলতে পারে। আর ০ থে ৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে সময় লাগে মাত্র ২.৪ সেকেন্ড। এই মডেলের ৩৭৫ টি গাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। আর এর সবগুলোই বিক্রি হয়ে গেছে। গাড়িটির মূল্য ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার ।

১. লাইকান হাইপারস্পোর্টস (Lykan Hypersport)



আপনারা যদি হলিউডের ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস মুভি সিরিজের ৭ নম্বর মুভিটি দেখে থাকেন তাহলে এই কারের সাথে আপনাদের পরিচয় আগে থেকেই রয়েছে। ফিউরিয়াস ৭ মুভিটিতে লাইকান হাইপারস্পোর্ট গাড়িটিকে ব্যবহার করা হয়। গাড়িটি দুবাই এর ডব্লিউ মোটর কোম্পানী তৈরি করেছে। তবে গাড়িটি লেবাননে তৈরি করা হয় । এর ওজন প্রায় ১৩৮০ কেজি এবং গাড়িটিতে রয়েছে আরিউএফ কোম্পানির তৈরি 3.7 litre twin -turbocharged flat-six ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৩ সালে এই গাড়িটি বাজারে আনা হয়, তবে ডব্লিউ মোটর কোম্পানী মাত্র ৭ টি লাইকান হাইপারস্পোর্ট গাড়িটি বাজারে ছাড়বে। সুতরাং, বুঝাই যাচ্ছে যে এর চাহিদা কত বেশি! এই গাড়িটির বাজার মূল্য বর্তমানে ৩৪,০০,০০০ ডলার। এই হাইপার-কার টি অবিশ্বাস্য ভাবে মাত্র ২.৮ সেকেন্ডেই ০-১০০ কিমি গতিতে পৌঁছে যায়।


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বাংলাদেশের দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলল ইউটিউব

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গত তিন মাসে বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া দেড় লাখের বেশি ভিডিও অপসারণ করেছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব।

নিজেদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুসারে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর- এই তিন মাসে ভিডিওগুলো সরানো হয়। এই প্রান্তিকে প্ল্যাটফর্মটি সব মিলিয়ে সারা বিশ্বের ৯০ লাখেরও বেশি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে। 

তালিকায় আনা মোট ৩০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে ভারতের। অপসারণ সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামতও মুছে ফেলেছে ভিডিও বিনিময়ের সাইটটি। 

উগ্রপন্থা, নগ্নতা এবং স্প্যাম ভিডিও প্রচার এবং শিশুবান্ধব না হওয়ার কারণে এসব ভিডিও ও মতামত মুছে ফেলা হয়। এই তিন মাসে বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ভিডিও সরানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক কনটেন্ট; যার হার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। সহিংসতা ছড়ানো বা তাৎক্ষণিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় কনটেন্টগুলো অপসারণ করা হয়। 

এরপরই সবচেয়ে বেশি সরানো হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে এমন ভিডিও। এর হার ছিল ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। শিশুদের হয়রানি ও তাদের কেন্দ্র করে নানা অনলাইন অপব্যবহার রোধে ভিডিওগুলো সরানো হয়। 

তৃতীয় যে শ্রেণির ভিডিও সরানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি সেগুলো ছিল হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট। এর হার ছিল সাড়ে সাত শতাংশ। মানুষের মনে আতঙ্ক বা উদ্বেগ ছড়াতে পারে এমন সংবেদনশীল দৃশ্য যেমন দাঙ্গা, রক্তপাত ইত্যাদিকে হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে ইউটিউব।

উল্লেখ্য, ইউটিউব ব্যক্তিমানুষ ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এই দুইয়ের প্রয়োগ ঘটিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়গুলো যাচাই করে। 

তবে মুছে ফেলা এসব ভিডিওর ৯৬ শতাংশের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআই। বাকি ৪ শতাংশ ভিডিও অপসারণে ইউটিউবের সাধারণ ব্যবহারকারী ও ‘প্রায়োরিটি ফ্ল্যাগার প্রোগ্রামের’ সদস্যদের অভিযোগ বা পরামর্শ বিবেচনা করা হয়েছে।

ইউটিউব   বাংলাদেশি কনটেন্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

৭ দিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি (বিএসসিএল)।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুজহাত তানজিনা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ব্রডকাস্ট সেবায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। ফলে ওই দিনগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত স্যাটেলাইটটির কার্যক্রমে বিঘ্ন দেখা দিতে পারে।
  
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সম্প্রচার কার্যক্রম সাময়িক বিঘ্ন ঘটার সময়গুলো হচ্ছে ৭ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৩ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট; ৮ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট; ৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিট; ১০ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৩ মিনিট; ১১ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট; ১২ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত মোট ১১ মিনিট এবং ১৩ মার্চ সকাল ৯টা ৫২ মিনিট থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ৮ মিনিট।
 
প্রাকৃতিক কারণে ঘটিত এই সাময়িক বিঘ্নের জন্য বিএসসিএল আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট   বিএসসিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বিরল সূর্যগ্রহণ, দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার!

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সাথে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না এটি। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০২৪ সালের প্রথম এ সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

নাসা বলছে, এই সূর্যগ্রহণ খুবই বিশেষ। কারণ এই ঘটনা ঘটছে ৫৪ বছর পর। এর আগে ১৯৭০ সালে এই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এর পরে এটি ২০৭৮ সালে ঘটবে।  

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে একই রেখায় থাকে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী। তখন সূর্য পুরোপুরি ঘূর্ণায়মান চাঁদের পেছনে ঢাকা পড়ে যায়। এ কারণে দিনের বেলাতেই রাতের অন্ধকার নামবে পৃথিবীতে। বিভ্রান্তে নিশাচর প্রাণিরা এ সময় সক্রিয় হয়ে উঠবে।
 
সূর্যগ্রহণটি যে অঞ্চলব্যাপী দৃশ্যমান থাকবে সেখানে প্রায় ৪ কোটি মানুষের বাস, যারা এটি উপভোগ করতে পারবে। ব্রহ্মাণ্ডের এই প্রাকৃতিক ঘটনায় চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসবে, সেসময় চাঁদের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪০০ কিলোমিটার।
 
এই গ্রহণ রাত ০৯ টা ১২ মিনিট থেকে রাত ০১ টা ২৫ মিনিট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এই সূর্যগ্রহণের মোট সময়কাল ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট স্থায়ী হবে।
 
নাসা জানিয়েছে, মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।

সূর্যগ্রহণ   নাসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

৫২ বছর পর ফের চাঁদে নামল মার্কিন মহাকাশযান

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

৫২ বছর পর চাঁদে আবার মার্কিন মহাকাশযান। তবে এবার মহাকাশযানটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম কোনো বেসরকারি সংস্থার তৈরি মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছুঁল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মালার্পেট নামে একটা চন্দ্রখাতের কাছে নেমেছে এই চন্দ্রযান।

অ্যাপোলো ১৭ চন্দ্রাভিযান করেছিল ১৯৭২ সালে। এবার অডিসিয়াস মিশন চাঁদে সফলভাবে চাঁদে নামলো। এই মহাকাশযানটি তৈরি করা এবং তার উড়ানের পিছনে ছিল হিউস্টনের সংস্থা ইনটুইটিভ মেশিন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৩ মিনিটে(জিএমটি) তা চাঁদে নামে। এই প্রথম একটি বেসরকারি সংস্থার চন্দ্রাভিযান সফল হলো।

ইনটুইটিভ মেশিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ''আমরা চাঁদের মাটিতে নামতে পেরেছি। সিগন্যাল পাঠাতে পারছে চন্দ্রযানটি।'' মিশন ডিরেক্টর টিম ক্রেইন বলেছেন, ''এখনো সিগন্যাল একটু দুর্বল আছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে আরো স্পষ্ট সিগন্যাল আসে। তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, আমাদের মেসিনপত্র এখন চাঁদে আছে। সেখান থেকে বার্তাও আসছে।''

ছয় পেয়ে রোবট অডিসিয়াস চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মালাপের্ট নামে চন্দ্রখাতের কাছে নেমেছে। এবার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দিয়ে উচ্চপ্রযুক্তির সাহায্য়ে তা কাজ করবে। এটি চলবে সৌরশক্তির সাহায্যে। চন্দ্রপৃষ্ঠ, চাঁদের পরিবেশ-সহ অনেক বিষয়ে নতুন তথ্য পাঠাবে এই ল্যান্ডার।

অডিসিয়াস ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। স্পেস এক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট তাকে মহাকাশে নিয়ে যায়। এখানে এই প্রথম সুপারকুল তরল অক্সিজেন, তরল মিথেন প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে খুবই তাড়াতাড়ি তা মহাকাশে পৌঁছে গেছে। 

মার্কিন মহাকাশযান   চাঁদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করলেন, ধানের ভেতরে গরুর মাংস

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।

ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।

এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।

গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।

গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।

বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।

পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।

গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।


উদ্ভাবন   চাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন