নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
‘যা কোথাও নেই তা গুগলে আছে’। এটি গুগল সম্পর্কে প্রচলিত খুবই সাধারণ একটি উক্তি। সংবাদ, ছবি, গান, চলচ্চিত্র মিলে এক বিশাল লাইব্রেরি। এ কারণে যে কোনো ধরনের ওয়েবসাইটের শীর্ষে অবস্থান করছে সার্চ ইঞ্জিনের জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি।
তবে গুগলের এই জনপ্রিয়তার লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক ছবি মজুদকারী প্রতিষ্ঠান গেটি। প্রতিষ্ঠানটির সংগ্রহে থাকা প্রায় ১০ হাজার কোটি ছবি ইচ্ছে করলেই আর ডাউনলোড করতে পারবেন না নেটিজেনরা। এখন থেকে গুগলে সার্চ করে নির্দিষ্ট কোনো ছবি খুঁজলে আলাদা করে কোনো ছবি দেখা যাবে না। ছবির কপিরাইট সুরক্ষিত রাখতেই এমন ব্যবস্থা নিয়েছে গুগল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেট হবে উন্মুক্ত। এই কথা গুগলের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। ৫-৭ বছর ধরে গুগল জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। কিন্তু নতুন এই ব্যবস্থার ফলে গুগল তার চেতনাকেই যেন থামিয়ে দিয়েছে। আর এই পদক্ষেপের ফলে গুগলকেই হয়তো দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
অবশ্য গুগলের টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, ‘ব্যবহারকারী ও ওয়েবসাইটের মধ্যে আরও মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে গুগল ইমেজ সার্চে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরিয়ে ফেলা হয়েছে ভিউ ইমেজ বাটনটি। ছবি দেখা ও বোঝার জন্য ভিজিট বাটনটি রাখা হয়েছে।
সার্চ ইঞ্জিনটিতে ছবি ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূ্র্বে গুগলে ছবি সার্চ করার সময় ‘ভিউ ইমেজ’ নামের একটি আলাদা বাটন ছিল। সেখানে ক্লিক করলেই পুরো ছবিটাই চলে আসত। তবে এখন সেই বাটনটি মুছে ফেলল গুগল। সেখানে যুক্ত হয়েছে ভিজিট নামে একটি বাটন। যার অর্থ হলো গুগল ইমেজ সার্চ থেকে আর ভিউ ইমেজের মাধ্যমে সরাসরি ছবির ফাইলটি দেখা যাবে না। ছবিটি কেনার জন্য ঢুকতে হবে গেটির ওয়েবসাইটে। ২০১৬ সালে গুগলের বিরুদ্ধে ছবি চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছিল গেটি ইমেজ। ২০১৭ সালে ইউরোপিয়ান কমিশনে গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এর ফলেই কপিরাইট চুক্তির আওতায় ছবির সত্বাধিকার নিশ্চিত করতেই এমন একটি চুক্তি করল গুগল-গেটি ইমেজ। গেটির এমন শক্ত অবস্থানের কারণে গুগলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। নতুন এই চুক্তির বিষয়ে গেটি ইমেজের সিইও ডন এয়ারি বলেন, এই চুক্তির ফলে লাইসেন্সকৃত ও কপিরাইট আইনের থাকা ছবিগুলো সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।‘ তবে এই সিদ্ধান্তকে পশ্চাতপদতা মনে করছেন অনেকে। সামাজিক মাধমে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকে। এর ফলে গেটিও তার অনেক ব্যবহারকারী হারাতে পারে বলে মনে করেন নেটিজেনরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন