নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ০৯ মার্চ, ২০১৭
কোথাও যাবেন, কিন্তু ব্যস্ততায় সময়ের সঙ্গে পেরে উঠছেন না টিকিটটি কাটতে? কোনো কিছু দরকার, ভাবছেন জিনিসটা বাসায় ডেলিভারি দিয়ে গেলে ভাল হতো! টুকিটাকি থেকে এমন সব সেবা দিতে দেশের বাজারে প্রথমবার চালু হলো ‘চলো সুপার শপ’। এতে গ্রাহকরা গাড়ি ভাড়া, প্লেনের টিকিট, ডেলিভারি সার্ভিসসহ পর্যায়ক্রমে ৫০টি সেবা পাবেন।
চলো’র প্রধান প্রধান সার্ভিস ছাড়া প্রতিটি সুপার শপে, মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল, পাসপোর্ট ফি জমা, বাস টিকেট, ট্রেনের টিকিট, বিকাশ সুবিধা পাওয়া যাবে।
এ শপটি চালু করেছে বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রতিষ্ঠান চলো টেকনোলজিস। ঢাকার উত্তরা ও নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় চালু হয়েছে এই শপ।
প্রাথমিকভাবে সব মিলিয়ে মোট দশটি সুপার শপ চালু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি মাসেই ঢাকার রাজধানীর খিলক্ষেত, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে সুপার শপ চালু হবে এবং এগুলো সেবা সুবিধা দেওয়া শুরু করবে।
চলো সুপার শপের পাশাপাশি এগুলো অন-ডিমান্ড কার সার্ভিস চলোর কাস্টমার কেয়ার হিসেবেও পরিচিতি পাবে। ধীরে ধীরে এসব সেবাভিত্তিক সুপার শপে ই-কমার্স সাইটগুলোকেও যুক্ত করা হবে। ফলে মানুষ অনলাইনে অর্ডার করা পণ্য এখান থেকে সংগ্রহ করার সুযোগ পাবেন।
এ সম্পর্কে চলো টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দেওয়ান শুভ বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে ১০টি চলো সুপার শপ চালু করতে যাচ্ছি। চলতি বছর এর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে। মানুষ একটি শপে প্রবেশ করেই যেন সব সেবা নিতে পারেন সে লক্ষ্যেই আমাদের এ উদ্যোগ। আশা করি আমাদের এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন।”
বাংলা ইনসাইডার/এসআই
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন