নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০১৮
ফেসবুক নিজেদের অবস্থা উত্তরনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির ঘটনায় তথ্য চুরি হওয়া আট কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করতে যাচ্ছে ফেসবুক।
আর তাই তারা এনেছে নতুন পদ্ধতি। এই ব্যবহারকারীরা ছাড়াও প্রায় দুই কোটির বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী এই সুবিধা পাবেন। তাদের নিউজ ফিডের একদম উপরে একটি লিঙ্ক দেখতে পাবেন যাতে তারা পাবেন কোন অ্যাপগুলো ব্যবহার করছেন আর তাদের কী কী তথ্য শেয়ার করছে।
ফেসবুক জানায়, বেহাত হওয়া তথ্য থেকে ব্যবহারকারীদের স্থান শনাক্ত করা গেছে। প্রায় আট কোটি ৭০ লাখ গ্রাহকের তথ্য লন্ডনভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে গেছে বলে বৃহস্পতিবার ধারণা প্রকাশ করে ফেসবুক। ওই গ্রাহকদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। তবে এক কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকারী অন্য দেশের, যাদের মধ্যে প্রায় ১১ লাখ যুক্তরাজ্যে থাকেন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর নির্বাচনী প্রচারণায় ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের ডেটা অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পরই এ বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।
এদিকে, ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় সব পেজ পরিচালনাকারীদের পরিচয় শনাক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে ফেসবুক। অপপ্রচার ও ভুয়া খবর ঠেকানোর এ উদ্যোগের কথা জানান ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। তিনি বলেছেন, বড় পেজগুলোকে পরীক্ষা করা হবে। যেসব পেজ মালিক তাঁদের পেজের পরিচয় জানাবে না, তাঁদের ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিতে দেওয়া হবে না।
অনেকেই আছেন পরিচয় লুকিয়ে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পেজ পরিচালনা করেন। এ ধরনের ভুয়া ব্যবহারকারী ঠেকাতেই এই উদ্যোগ।
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণের নীতিমালায় সমর্থন দেওয়ার কথা বলেছেন জাকারবার্গ। তিনি বলেন, এটা করতে গেলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতাদের বিজ্ঞাপনের উৎস সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে।
যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্মের চেয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ একটি বড় সমস্যা। এ কারণে ‘অনেস্ট অ্যাডস অ্যাক্ট’ নীতিমালা সমর্থন করার কথা বলেন জাকারবার্গ। এতে অনলাইনে সব ধরনের রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে একটি বাধা তৈরি হবে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরও সবকিছু দ্রুত ঠিক হবে না বলেই মনে করেন তিনি।
জাকারবার্গ বলেন, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়া থেকে যেভাবে বিজ্ঞাপন এসেছে, এভাবে যাতে কেউ ভুয়া অ্যাকাউন্ট বা পেজ থেকে আর সুযোগ নিতে না পারে, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন