নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮
অ্যাপল সম্প্রতি তাদের পুরনো আইফোন মডেলগুলোর ব্যাটারিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতির করে দিয়েছিলো। তাঁর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল যাতে ব্যাটারি শক্তি সংরক্ষণ করা যায়। এতে করে গ্রাহকরা বাধ্য হয়ে যেন নতুন ফোন বা ব্যাটারি কিনতে বাধ্য হয়, তাদের বিক্রি বাড়ে। এটা ইন্টারনেট দুনিয়ায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে। শেষে তারা ব্যাটারি পাল্টে দেওয়ার সুবিদা চালু করে ২৯ ডলারের বিনিময়ে। অনেক গ্রাহকই ব্যাটারি পাল্টাতে গিয়ে ব্যাপক বিপত্তির মুখে পড়ে। বিজনেস ইনসাইডারের পক্ষ থেকে স্টিভ কোভাচ একটি অ্যাপল স্টোরে যান, আইফোন ৬ এর ব্যাটারি পাল্টানোর ক্ষেত্রে কি হয় আসলে সেটা জানার জন্য। কথোপকথনে যা জানা যায় তার সারসংক্ষেপ হলো-
আপনার আইফোন পুরনো হয়ে গেলে এমনটা ঘটতে পারে। সৌভাগ্যজনকভাবে এটা পাল্টে ফেলা সম্ভব মাত্র ২৯ ডলারে। আর তাতে আগের সমস্যার বেশিরভাগেই সমাধান হবে। তবে অ্যাপল সবসময় এটি সহজ করে না।
আপেলসহ অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো তাদের ব্যাটারির জন্য লিথিয়াম আয়ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। যা ব্যাটারির জন্য সর্ব্বোৎকৃষ্ট। কিন্তু বেশি ব্যবহার করার ফলে একটু খারাপ হতে শুরু করে। দুই বছর পার হওয়ার পর থেকে আইফোন ব্যাটারি মূল শক্তির ৮০ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা ইচ্ছা করেই আইফোন ব্যাটারির কার্যক্রম ধীরগতির করে দেয়। যার ফলে এটি দিয়ে কম শক্তি ব্যবহার হয়। কিন্তু সমস্যা হলো, এই কথা তারা কাউকে জানায়নি। ফলে গ্রাহকরা ভালো ব্যাটারি সেবর পাশাপাশি খারাপ সেবাও দেখলো।
এটা অবশ্যই আইফোনের অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্র। নতুন ফোন কিনতে বাধ্য করার জন্য গ্রাহকদের সঙ্গে এই কাজ করে। তাদের ষড়যন্ত্রের বেশিরভাগই সত্য প্রমাণিত হয়। গ্রীকবেঞ্চ নামক একটি সাইট খেয়াল করে যে ক্ষমতা তুলনায় আইফোন ধীরে চলছে। এরপর অ্যাপল এটি প্রত্যক্ষ করে এবং ক্ষমা চায়। এটি তাঁর ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট প্রোগ্রাম পরিবর্তন করে। এবং এই সেবা ৭৯ ডলার থেকে নামিয়ে ২৯ ডলারে আনা হয়। কিন্তু এটা অতোটা সহজ ছিল না। কারণ এর আগে গ্রাহকরা যখন অভিযোগ শুরু করে তখন তারা বলে আসছিল যে কোনো সমস্যাই হয়নি, সব ঠিক আছে।
একজন কর্মকর্তা এই বিষয়ে বলেন, ব্যাটারি চলতে চলতেও ৯৩ শতাংশ ব্যাকআপ দিতে পারতো ওই সময়ে। কিন্তু এখন সেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাহলে কেন ব্যাটারি লাইফ খারাপ হলো কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ব্যাটারি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। ২০১৭ এর জুলাই এর পরের সব আইফোনগুলোর ব্যাটারি ভালো হওয়ার কথা।
এরপর অ্যাপল আইওএস এর জন্যে নতুন এক ফিচার নিয়ে আসে যেটি দিয়ে গ্রাহকেরা তাদের ব্যাটারির খুটনাটি সব নিজেরাই যাচাই করতে পারে। তারা জানায়, ফোনে কিছু পুরনো অ্যাপস থাকলে ব্যাটারি কম কাজ করতে পারে। সেগুলো ডিলিট করে নতুন করে ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে বলেন।
আরেকটি সমস্যা ছিল। অ্যাপল এর ব্যাটারি পরীক্ষা সবকিছু ভাল প্রমাণ করলেও ব্যবহারকারী ঠিক কি দেখতে চাচ্ছে তা দেখাতে পারে না। এর সঠিক কারণ তারা দেখাতে পারেনি। তবে রিপ্লেসেমেন্ট খরচ কমেছে, এটা একটা ভালো কথা।
কোভাচ বলেন, প্রতি দুই বছর বা তার আইফোন আপগ্রেড করা ভালো। কিন্তু এই ব্যাটারি প্রতিস্থাপন প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি আরও দুই বছর দ্বারা ফোন ও ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে পারেন। আর বেশি খারাপ অবস্থা হলে অ্যাপল স্টোরে গিয়ে নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে আইফোনটি নতুন বানিয়ে নিতে পারেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন