নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮
ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ফেসবুককে মামলার সম্মুখীন হতে হবে বলে রুল জারি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার এক বিচারক। বলা হয়েছে ব্যবহারকারীদের স্পষ্ট সম্মতি ছাড়াই ফেসবুক বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করেছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ফেসবুকের ‘ট্যাগ সাজেশন’ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের পরিচিতদের ছবির মাধ্যমে শনাক্ত করে। আর এটি ইলিনয়েসে স্টেট আইনের পরিপন্থী।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচারক ডোনাডো রুল জারি করে ফেসবুককে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর ফেসবুক ব্যবহারকারীর জবানবন্দী নেন। এদের সবার জন্য ফেসবুক ২০১১ সালের ৭ জুন একটি ফেস টেমপ্লেট তৈরি করে সংরক্ষণ করে আসছিল। তাঁরা সকলেই ক্ষতিপূরণ দাবী করতে পারবেন।
বিচারক ডোনাটো লিখেছেন, ফেসবুক মনে হয় বিশ্বাস করছে ক্ষতির মূল্যমান বিলিয়ন ডলার হবে।
২০১১ সালের জুনে ফেসবুক ট্যাগ সাজেশন ফিচারটি যুক্ত করে। শুরুতে ফিচারটি আপলোড করা যেকোনো ছবির ফেইস রিকগনিশন করে। আকার ও নির্দেশনা অনুযায়ী এটি ছবি ক্রমানুসারে সাজায়। প্রতিটি ছবির জন্য একটি করে ফেস সিগনেচারের ব্যবস্থা করা হয়। এটি এক রকম ছবির জন্য গাণিতিক পরিচিতি। তাঁর পর ফেস ডাটাবেজে প্রোগ্রামটি রান করে। এবং একই ধরনের মুখ খোঁজে।
ফেসবুক তাঁদের বিভিন্ন পেইজে বলেছে ট্যাগ করা প্রতিটি ছবিতে ফেসবুক সামঞ্জস্যগুলো মিলিয়ে টেম্পলেটগুলো তৈরি করা হয়েছে। ফেসবুক বলছে, ‘যদি আপনাকে কখনো ফেসবুকে ট্যাগ না করা হয় কিংবা আপনাকে আনট্যাগ করা হয় তবে আপনার সম্পর্কে কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
তবে ফেসবুকের এই ফিচারটি যুক্তরাজ্যসহ বেশির ভাগ দেশেই নেই। আর যে সকল দেশে এটি চালু রয়েছে সেখানে ইউজার সেটিংসে গিয়ে ফিচারটি বন্ধ করা যায়।
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন