নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮
ফেসবুকের তথ্য ফাঁসের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ তো আইডিই বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে দূরে থাকছেন। আবার অনেকে ফেসবুক ব্যবহার করলেও আছেন এ নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায়। তবে নিজেরা একটু সতর্ক থাকলেই ফেসবুকে নিরাপদ রাখতে পারেন নিজেকে।
ব্যক্তিগত তথ্য
আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করার আগে সচেতন হওয়ার দরকার। মাথায় রাখুন, ফেসবুকে ব্যবহারকারীর নাম এবং ঠিকানা থেকে সহজেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সব তথ্য পায় হ্যাকাররা। সেখানে ফোন নম্বর শেয়ার করলেও তা হাতিয়ে নিতে পারে। সেখান থেকে অনবরত হ্যাকারদের ফোন আসতে থাকবে।
ফেসবুক বন্ধু
ফেসবুকে বেশি বন্ধু বানালেও ঘটবে বিপদ। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক রবিন ডানবার যাচাই করেন যে ফেসবুকে তাঁর বন্ধুদের মধ্যে ৪ দশমিক ১ শতাংশ পুরোপুরি ডানবারের ওপরে নির্ভরশীল। আর ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ ব্যবহারকারীদের তাঁদের নিজেদের প্রয়োজনে বা বিপদে দেখতে পাওয়া যায়। তিনি মনে করেন, এমন অপ্রয়োজনীয় বন্ধু এড়িয়ে চলাই ভালো।
শিশুদের জেন্য ফেসবুক
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের আরেক অধ্যাপক ভিক্টোরিয়া ন্যাশ বর্তমান শিশুদের বিষয়ে একটি প্রশ্ন রেখেছেন। সেটা হলো ভবিষ্যতে নিজেদের কী ধরনের তথ্য ফেসবুকে দেখতে আগ্রহী হবে শিশুরা। তিনি বলেন, আগে এই প্রশ্নের প্রয়োজন না থাকলেও এখন আছে। কারণ শিশুদের ছবি তাঁর বাবা-মায়েরাই ফেসবুকে ছড়ায়।
অভিভাবকদের ফেসবুক ব্যবহার
স্কুল থেকে ফিরেই বাবা-মায়ের ফেসবুকে ঢোকে তাদের শিশুরা। এটা বর্তমান শিশুদের নিয়মিত অভ্যাস এখন। তাতে করে তারা প্রযুক্তি সম্পর্কে জানছে, বিভিন্ন ভয়ঙ্কর এবং নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি ঝুঁকছে তারা। এই যেমন ব্লু হোয়েল গেম। এর প্রচার-প্রচারণা ফেসবুকের মাধ্যমেই বেশি ছড়ায়। এতে করে শিশুরা আরও বেশি আগ্রহী হয় এগুলোর প্রতি। এমনকি এখন যৌন অপরাধীদের কবলে পড়ে শিশুরা, তাদের অপব্যবহার করা হয়।
ফেসবুক লোকেশন
অনেকেই ফেসবুকে লোকেশন সেট করে রাখেন। এটা একদমই ঠিক না। লোকেশন দেওয়া থাকলে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর অবস্থান সম্পর্কে জেনে নেবে। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন আপনাকে খুঁজে বের করে নেবে তারা। মোবাইল থেকে ফেসবুক অ্যাকসেস করে লোকেশন শেয়ার করলে এই ভয়ের প্রকোপ আরও বেশি।
ব্যক্তিগত সব তথ্য
ব্যবহারকারী কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে, পরিবারের সঙ্গে কেনাকাটা-খাওয়াদাওয়া করা, বা খেলা দেখতে যাওয়া- এসব তথ্যই এখন পায় ফেসবুক। সেখান থেকে হ্যাকাররাও পায়। ছুটির দিনের পরিকল্পনার কথা ফেসবুকে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। ফেসবুক থেকে অন্য কোনো পেজে ঢুকে কেনাকাটা বা অন্য কোনো কাজে ক্রেডিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য দিয়ে দেবেন না। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দিতে গিয়েই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বোর্ডিং পাসের তথ্য
ক্ষতিকর বোর্ডিং পাসের তথ্য শেয়ার করাও ক্ষতিকর। কারণ এই পাসের বারকোড নম্বর দিয়ে হ্যাকাররা আপনার যাবতীয় তথ্য নিয়ে নিতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন