নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০১৮
কোনো বিনিয়োগ বা খরচ ছাড়াই আয় করা সম্ভব কি আসলে? ইন্টারনেট দুনিয়ায় আজকাল অনেককিছুই সম্ভব। বিনা খরচে শুধু স্মার্টফোন ব্যবহার করে হাজার ডলার আয় করে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের কিছু তরুণ। তাদের এই আয়ের উৎস `এইচকিউ ট্রিভিয়া` নামে একটি জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ।
এই অ্যাপ যুক্তরাষ্ট্রের পর এই বছরে যুক্তরাজ্যে আসে। বিনামূল্যের এই অ্যাপটি মূলত ১৫ মিনিটের লাইভ স্ট্রিম কুইজ শো প্রচার করে থাকে। এতে অংশ নিয়েই ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন ২ ডলার থেকে শুরু করে হাজার হাজার ডলার পর্যন্ত আয়ের সুযোগ পান। ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে এখন কুইজ শো`টির দর্শক সংখ্যা ছাড়িয়ে এখন লাখ থেকে কোটিতে পৌঁছে গেছে।
সম্প্রতি তারা তাদের সবচেয়ে বড় জ্যাকপট নিয়ে হাজির হয়। সেখানে ৮৩ জন বিজয়ীর মধ্যে ৩ লাখ ডলার ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে তারা। মোবাইলের মাধ্যমে কুইজের মোট ১২ টি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের ভিত্তিতে এই মোটা অংকের অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়। চমক ছিল ওই জ্যাকপট শো এর উপস্থাপনায়। সেখানে অতিথি উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন দ্য রক-খ্যাত জনপ্রিয় রেসলার ও অভিনেতা ডোয়াইন জনসন।
অ্যাপটি তৈরি করেন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ভাইন এর সহ প্রতিষ্ঠাতা কলিন ক্রোল ও রুশ ইউসুপোভ । রুশ জানান, ‘আমরা চাই সবাই যেন সেই গৎবাঁধা টেলিভিশন কুইজ থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এজন্য আমরা প্রতিটি অনুষ্ঠান এমনভাবে সাজাই যেন ব্যবহারকারীরা আমাদের সঙ্গে বেশি করে সম্পৃক্ত হতে পারে। এবং তারা যেন প্রতিদিন আমাদের ভিজিট করতে আগ্রহী হয়।’
যে অ্যাপের নাম অনেকেই জানেনা তা কীভাবে এত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। এমনকি কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার না করে আলোচিত তারকাদেরও মঞ্চে আনছে কীভাবে তারা, তা নিয়েও কথা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অ্যাপটির ব্রিটিশ সংস্করণের উপস্থাপক শ্যারন কারপেন্টার জানান, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ভিউয়ার বা দর্শক হিট থেকেই তাদের এই আয় হয়। সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ সবসময় বেশি। এখানে সব খোলামেলা, যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটে। সবার আগ্রহ থাকে কুইজটার শেষ পর্যন্ত। আর মোবাইলের কারণে এটা সবসময় সবার হাতের নাগালেই থাকে। এভাবে এইচকিউ ট্রিভিয়া একদিন টেলিভিশন সম্প্রচারের জায়গা দখল করবে।
এই অ্যাপটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই কুইজ জিততে না পেরে হ্যাশট্যাগ ডিলিট এইচকিউ নামে টুইটারে প্রচারণা চালিয়েছে। আবার অনেকেই এই কুইজের প্রতি তাদের আসক্তির কথা জানিয়েছে।
অর্থের পাশাপাশি বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কারও দিয়ে থাকে এইচকিউ ট্রিভিয়া। জানা যায়, দর্শক সংখ্যার পাশাপাশি এইচকিউ ফাউন্ডার্স ফান্ডের মতো বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থে এবং অ্যাপটির মাদার কোম্পানি ইন্টারমিডিয়া ল্যাবের লভ্যাংশে পরিচালিত হয় এই শো’টি।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন