নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮
আমাদের মোবাইল ফোনটি নিজেদের কাছে খুবই প্রিয় এবং প্রয়োজনীয়। একটা দিনও এখন ফোন ছাড়া কল্পনা করা যায়না। কিন্তু এত সাধের ফোনটা যদি হঠাৎ করে পানিতে পড়ে যায়, তখন কি করবো বুঝে উঠতে পারিনা আমরা। ভাবি যে ফোনটা বুঝি আর চলবে না। কিন্তু চাইলেই খুব সহজে ফোনকে পানিতে নষ্টের কবল থেকে বাঁচানো যায়। আজ আমরা তাই জানবো।
১. ফোনে পানি ঢুকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর ব্যাটারি খুলে ফেলতে হবে। প্রথমেই ফোনটি সুইচড অফ করুন, না হলে সরাসরি ব্যাটারি খুলে ফেলুন। অহেতুক অন্যান্য বাটন চেপে সময় নষ্ট করবেন না। কারণ পানিতে পড়লেও ফোন বন্ধ হয় না। ফলে ভিতরে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। এতে করে ভিতরের যাবতীয় তথ্যাদি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, সার্কিট জ্বলে যেতে পারে। তাই প্রথমেই ব্যাটারি সংযোগ বন্ধ করে দিন।
২. দ্রুত ফোনের ভিতরের সিম কার্ড, মেমরি কার্ড খুলে ফেলুন। ফোনের খোলা অংশগুলি একটি শুকনো কাপড়ে মুছে ফেলুন।
৩. পানি মোছার পর ফোনটিকে বেশ কিছুক্ষণ ঝাঁকিয়ে নিন। যাতে হেডফোন জ্যাক, চার্জিং পোর্টে একটুও পানি জমে না থাকে। শুকনো কাপড়ে মুছে একটি টিস্যু পেপার দিয়ে আরেকবার মুছে নিন।
৪. পানি মোছার পর বাড়িতে টিনের কৌটায় বা বস্তায় চালের মধ্যে ফোনটিকে কিছুক্ষণ রাখুন। বা সিলিকা জেল থাকলেও ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে একটুও পানি থাকলে তা শুকিয়ে যায়।
৫. চালের মধ্যে বা সিলিকা জেল-এ ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা রাখতে হবে।
৬. সূর্যের আলোতেও ফোনটি রেখে দিতে পারেন। এতে করে পানি শুকিয়ে যাবে। তবে এর আগে ফোনের ব্যাক কাভার এবং ব্যাটারি সব খুলে নিন। তবে খুব বেশিক্ষণ না, সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনঘণ্টা ফোনটি রোদে রাখতে পারেন।
৭. মোবাইল ভিজে গেলে ব্যাটারি খুলে ফোনটি সরাসরি খোলা ঘরের মধ্যে ফ্যানের বাতাসে শুকাবেন না। হেয়ার ড্রায়ারও ব্যবহার না করাই ভালো। কোনো গরম বাতাস লাগাবেন না। আপনার ফোনটিকে শুকানোর জন্য এয়ার কন্ডিশন ভেন্টের সামনে কিছুক্ষণ ধরতে পারেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন