নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ১৬ মে, ২০১৮
অনেক প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার মহাকাশে গেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এটাকে মহাকাশে নিয়ে গেছে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেটের সর্বশেষ সংস্করণ ব্লক-৫ । যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কম্পানি ‘স্পেসএক্স’-এর ফ্যালকন-৯ রকেট ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে নিয়ে উড়াল দেয়। স্পেসএক্সের মূল উৎক্ষেপণের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নাম। তাদের আশা, এর মাধ্যমে দিয়ে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।
স্পেসএক্স’র ফ্যালকন ৯ রকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা নাসা। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো প্রথম রকেটের ক্রেতাও ছিল নাসা। এরপর টানা ৩টি মিশনে যায় ফ্যালকন ৯। লুক্সেমবার্গের এসইএস প্রথম স্পেসএক্সের হয়ে অপারেট করা শুরু করে। ২০১৩ সালের সাফল্যের পর গত বছরও স্পেসএক্সকে সমর্থন দেয় এসইএস।
শুক্রবার স্পেসএক্স’র সবচেয়ে আধুনিক রকেট ফ্যালকন-৯ ব্লক-৫ ব্যবহার করে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠায় বাংলাদেশ। এই রকেটটি নাসা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতরের সবকটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হর্য়েছে। প্রথমবারের মতোই ১০টি ফ্লাইট করতে পারে রকেটটি। আগের রকেটগুলো মাত্র ২ থেকে ৩টি উড্ডয়নে সক্ষম ছিল।
স্পেসএক্স-এর ওপর বরাবরই ভরসা রেখেছে নাসা ও এসইএস-এর মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও। বাংলাদেশের সাড়ে তিন হাজার কেজি ওজনে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে স্পেসএক্স নতুন কিছু শুরু করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ৫৪তম ফ্যালকন-৯ হলেও তাদের আশা নতুন অধ্যায়ের সূচনা এটি।
স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেট তৈরিই করেছিলে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য রকেট হিসেবে। অরবিটাল রকেট, যেগুলো মহাকাশে কক্ষপথে পাঠানো হয় সেগুলো এতদিন শুধু একবারই ব্যবহার করা যেত। অর্থাৎ প্রতি মিশনে ১০ থেকে শত শত মিলিয়ন ডলারের রকেট বানানোর দরকার হত যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
কিন্তু মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তার স্পেসএক্স কোম্পানি থেকে তৈরি করেছেন ফ্যালকন ৯ রকেট, যেগুলো একাধিকবার ব্যবহার করা যায়। এই রকেটগুলোর একটা বড় অংশ মহাকাশের মিশন শেষ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং সেগুলোকে পুনরায় মহাকাশে মিশনে পাঠানো যায়।
২০১১ সাল থেকে স্পেসএক্স তাদের ফ্যালকন ৯ রিইউজ্যাবল রকেট তৈরি করার কাজ করছিল। অবশেষে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে একটি ফ্যালকন ৯ রকেট তার দ্বিতীয় মিশন নিয়ে মহাকাশে যায় এবং এর পুনরায় ব্যবহারযোগ্য অংশ পৃথিবীতে ফিরে আসে। ২০১৭ সালের মার্চের ঐ দ্বিতীয় মিশনে ফ্যালকন ৯কে পুনরায় মহাকাশে পাঠিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে স্পেসএক্স।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন