নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ১৭ মে, ২০১৮
ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের একদিনও চলা সম্ভব না এখন। আর ঘরে বা অফিসে বসে নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এখন ওয়াইফাইয়ের কোনো বিকল্পই নেই। নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পেতে আপনার ওয়াইফাইয়ের গতি আপনি নিজেই বাড়ান এভাবে-
রাউটার আপগ্রেড করুন
পুরনো রাউটার সাধারণত ধীরগতির হয়, ফলে ইন্টারনেট সরবরাহ ভালো দিতে পারেনা। তাই প্রয়োজন দ্রুতগতির রাউটার। তাই আগে রাউটারের গতি দেখে নিন। এটি যদি বর্তমান ইন্টারনেটের লাইনের তুলনায় কম গতিসম্পন্ন হয় তাহলে রাউটার পরিবর্তন করে নিন।
রাউটারের অবস্থান দেখুন
ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর যথাসম্ভব কাছে রাউটার রাখুন। ঘরে ভারি আসবাব থাকলে সেগুলোর আড়ালে কখনো রাউটার রাখবেন না, রাখবেন একদম উপরের দিকে। এতে রাউটার বাধামুক্ত হবে, ডিভাইসগুলোর সঙ্গে সংযুক্তি ভালো হবে। বাসার এক প্রান্তে রাউটার না রেখে মাঝামাঝি স্থানে রাখুন।
চ্যানেল পরিবর্তন করুন
রাউটারটির ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে অন্য যন্ত্রপাতির ফ্রিকোয়েন্সি কনফ্লিক্ট হচ্ছে কি না খেয়াল করুন। আপনার রাউটারটি যদি ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে তাহলে তা কর্ডলেস ফোন, মাইক্রোওয়েভ, ব্লুটুথ, সিসিটিভি ইত্যাদির সঙ্গে কনফ্লিক্টের সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে ৫ গিগাহার্জ কিংবা অন্য ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা উচিৎ।
সফটওয়্যার আপডেট
রাউটার ও ইন্টারনেট সরবরাহের কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট হয়। তাই রাউটার ও মোবাইল ডিভাইস বা কম্পিউটার সফটওয়্যার আপডেট করে নিলে ওয়াইফাই ইন্টারনেটের ভালো গতি পাওয়া যাবে।
এক্সটেন্ডার
বাজারে নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য এক্সটেন্ডার পাওয়া যায়। ওয়াইফাই রাউটারটি থেকে দূরে কোথাও ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন হলে এক্সটেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন, ভালো ফল পাবেন।
অন্য কেউ ব্যবহার করলে
আপনার ইন্টারনেট সংযোগ আশেপাশের অন্য কেউ ব্যবহার করলে ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। তাই এ থেকে সাবধান। কারণ নির্দিষ্ট এরিয়ার বাইরে নেটওয়ার্ক ভালোভাবে সরবরাহ করতে পারেনা।
নিরাপত্তা বাড়ান ওয়াইফাইয়ের
ওয়াইফাই ইন্টারনেটের জন্য WEP বাদ দিয়ে তুলনামূলক নিরাপদ WPA/WPA2 ব্যবহার করুন। এটি ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তনও প্রয়োজনীয়। যাতে হ্যাকিং এর ভয় না থাকে। আর ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে আপনার নাম ও ডিভাইসের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তার বদলে সাংকেতিক নাম ও অত্যন্ত গোপনীয় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
ব্যবহার করুন টিন ফয়েল
আপনার ওয়াইফাই রাউটারের অ্যান্টেনার বাইরে ডিশ অ্যান্টেনার মতো বা অন্য কোনো উপায়ে টিনের ফয়েল ব্যবহার করে সিগন্যাল বাড়ানো সম্ভব। এতে হরে হুটহাট করে নেটওয়ার্ক চলে যাওয়ার ভয় কম থাকে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন