নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০৮ জুন, ২০১৮
আমাদের অফিস আদালতের কাজে প্রিন্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। হুট কর কখন কোনোকিছু ছাপার কাজে প্রিন্টারের কোনো বিকল্পই হয়না এখন। তাই এই যন্ত্রের কোনো অবহেলা করবেন। এভাবে নিয়মিত যত্ন নিন আপনার প্রিন্টারের:
১. প্রিন্টিং কাজের জন্য সবসময় চেষ্টা করবেন ভালোমানের কাগজ ব্যবহার করতে। এতে করে প্রিন্টার ও এর হেডটা ভালো থাকবে। আপনি একটি ভালোমানের প্রিন্টও পাবেন।
২. মাঝেমধ্যে নিয়মিত প্রিন্টারের হেড পরিষ্কার করুন। নাহলে নজেলে কালি জমে ছাপার কাজে বিঘ্ন ঘটাবে। কার্টিজ খুলে নরম সুতির কাপড় অল্প পানিতে ভিজিয়ে সেটি দিয়ে হেড পরিষ্কার করতে হবে। শুকিয়ে গেলে কার্টিজ আবার সেট করে ফেলুন। কাপড় ছাড়াও প্রিন্টারের সফটওয়্যারের মাধ্যমেও হেড পরিস্কার করা যায়।
৩. প্রিন্টার সবসময় চালু রাখুন। এজন্য সপ্তাহে অন্তত একবার প্রিন্ট করুন। তাহলে কালি সহজে শুকিয়ে যায় না। প্রিন্টারও ভালো থাকে। আর কাজের মাঝপথে কখনোই প্রিন্টার বন্ধ করা ঠিক নয়।
৪. প্রিন্টারের প্লাগ সরাসরি খোলা যাবে না। পাওয়ার অফ করার পর প্লাগ খুলুন।
৫. প্রিন্টারের কাগজ রাখার জায়গা যথার্থভাবে ব্যবহার করুন। প্রিন্টের মাঝপথে যদি কখনো কাগজ আটকে যায় তাহলে সেটি ভুলেও উল্টো দিক দিয়ে টানাটানি করে বের করার চেষ্টা করবেন না। এতে পুরো প্রিন্টারটিই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অপেক্ষা করবেন কিছুক্ষণ, তারপর সামনে থেকে নরমালি বের করবেন।
৬. কালি কমে আসার আগেই বা শেষ হয়ে যাচ্ছে তা টের পেলেই বদলে ফেলা উচিত। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করলে প্রিন্টার হেড ও নজেলের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
৭. যে কোম্পানির প্রিন্টার ব্যবহার করছেন সেই কোম্পানির বা ভালো ব্র্যান্ডের কালি ব্যবহার করবেন সবসময়। ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন