নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ১৬ জুন, ২০১৮
আমরা সবাই-ই বলি, আগের ঈদগুলো কত ভালো ছিল, কতই না মজা করতাম, কত উপহার পেতাম। আর এখন সব কেমন যেন ঝিমিয়ে গেছে। আগের সেই মজা, ঘোরাঘুরি, শুভেচ্ছা বিনিময়ের চল চলেই যাচ্ছে যেন। আমরা ঈদকে নিয়ে কত পরিকল্পনা করতাম, কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবো, কাছের মানুষগুলোকে কি উপহার দেবো সেটাই ছিল ভাবনার।
আগে সাধারণত মানুষ প্রিয়জন বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে বা কার্ড পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানাতো। কিন্তু এখন সেটি দখল করে নিচ্ছে ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা। এসএমএস, ই-মেইল বা ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেক্সট, অডিও বা ভিডিও আকারে শুভেচ্ছা পাঠানো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রমশ। শহরাঞ্চলে এ প্রবণতা বেশি।
মোবাইল-ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার কিংবা ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ- এ একটার পর একটা শুভেচ্ছা বার্তা আদানপ্রদান চলে ঈদ বা অন্যান্য উৎসবে। আর ঈদকে ঘিরে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
ছোটবেলায় আমরা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে যেতাম। আর এখন সারাদিন ঘরে বসে হাতে ফোন আর সামাজিক মাধ্যমেই কাটিয়ে দেই। এখনের নতুন প্রজন্ম ছোটবেলা থেকেই ঘরকুনো। আর আমরা শুভেচ্ছা জানাতেও এখন খুব যান্ত্রিক হয়ে গেছি। এসএমএস, জিফ, ছবি, ভিডিও দিয়েই শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দিচ্ছে ভার্চুয়াল বন্ধুদের।
আগে যে আমরা দোকান ঘুরে ঘুরে রঙ বেরঙের ঈদ কার্ড কিনতাম, মনের ভালোলাগার কথা লিখে দিতাম, আবার কখেনো কখনো হাতে কার্ড বানিয়ে উপহার দিতাম প্রিয়জনকে। সেই দিন আর নেই এখন। কারণ এই ভার্চুয়াল জগতে শুভেচ্ছা জানানো খুব সহজ আর ঝামেলামুক্ত আর বিনামূল্যে। আবার বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি নামমাত্র মূলে হাজার হাজার এসএমএস পাঠিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা জানানোর অফার দিচ্ছে ।
এতে করে সুবিধা হয়তো হচ্ছে, কিন্তু এতে করে আন্তরিকতা, টান মনে হয় কমে যাচ্ছে। রাজধানী বা মেট্রোপলিটন সিটিতে সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক বিচরণ বেশি হলেও ছোট শহরগুলোতে তা তুলনামূলক অনেক কম। তবে মোবাইল গ্রাহকদের সংখ্যা বৃধ্ধি এবং নিত্য-নতুন স্মার্ট-ফোন কেন্দ্রিক বাণিজ্যের ফলে এ সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। ফলে ঈদকে ঘিরে শুভেচ্ছা জানাতে অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বরাও বেছে নিচ্ছেন সামাজিক মাধ্যমকে। তাল মেলাচ্ছেন যুগের সঙ্গে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন