নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ২২ জুন, ২০১৮
তথ্য প্রযুক্তির ক্রমাগত উদ্ভাবন ও উন্নয়নের প্রভাব সব জায়গায়ই ছড়িয়ে পড়েছে। এই উন্নয়নের ফলে বিশ্বে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো পরিণত হয়েছে উন্নত রাষ্ট্রে।
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি দিকে যে ধারণা ছিল, প্রযুক্তির ক্রমাগত প্রভাব একদিন আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করবে, সেটিই এখন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে।
তবে এ নিয়ে সংশয় ও প্রকাশ করেছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি। তাঁরা বলছে, তথ্য উন্নয়নে যে বিপ্লব সাধিত হয়েছে এর ভবিষ্যৎ কোথায়?
তবে প্রযুক্তির এই বিপ্লবটি আমাদের জন্য একেবারে নতুন নয়, এটি শুরু হয়েছে অনেক আগেই। ১৪৩৯ সালে, জোহানেস গুটেনবার্গ তাঁর ছাপাখানার মাধ্যমে এই বিপ্লবের শুরু করেন। একুশ শতকের গোড়ার দিকে দেখা যায়, কম্পিউটারের অগ্রগতিতে গণনার কাজে খরচ ১৯৭০ সালের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গেছে।
ইন্টারনেটের এই যুগে সবক্ষেত্রেই সংযোগ সম্ভব হয়েছে। এক হিসেবে দেখা যায়, ১৯৯৩ সালের মাঝামাঝি বিশ্বে মাত্র ১৩০ টি ওয়েবসাইট ছিল যা ২০০০ সালের পর ১৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে সাড়ে ৩ মিলিয়নের বেশি মানুষ অনলাইনে যুক্ত আছে। ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডিভাইসের সাথে ইন্টারনেট সংযুক্ত হতে যাচ্ছে।
তথ্য সংরক্ষণ ও প্রেরণেও অভাবনীয় ভাবে খরচ কমেছে। মজার বিষয় হলো, আগে একটি ঘর ভর্তি যে পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করা যেত তাঁর সমপরিমাণ তথ্য এখন মানুষের পকেটেই থাকছে। বড় কম্পিউটারগুলো আকারে ছোট হয়ে স্মার্টফোন, ঘড়িসহ বিভিন্ন পোর্টেবল ডিভাইসে পরিণত হয়েছে।
প্রযুক্তি মানুষকে শুধু ভালোর দিকেই ঠেলছে না, এর ক্ষতিকর প্রভাব ও রয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের চারপাশে ঘটছে নানা ধরনের ভয়াবহ সব দুর্ঘটনা। তথ্যের এমন প্রাচুর্যের কারণে মনোযোগে ও ব্যাঘাত ঘটছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ যে ট্র্যাকিং ডিভাইস গুলো চালাচ্ছে সেগুলো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফেসবুক ২ বিলিয়নের বেশি মানুষকে যুক্ত করেছে, সেখানেও প্রতিনিয়তই ঘটছে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঘটনা। ইউরোপের দেশগুলো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য কিছু করা কথা ভাবছে, তবে কবে নাগাদ সেটি হতে পারে, তা এখনো অনিশ্চিত।
তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই। তবে, বৈশ্বিক উন্নয়নে সঠিক খাতে সঠিক তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন