নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ জুন, ২০১৮
অবশেষে সফল হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ইন অরবিট টেস্ট (আইওটি)। স্যাটেলাইটটি নিজ কক্ষপথ ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রিতে পৌঁছানোর পর তার আইওটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। গেলো সপ্তাহেই এই টেস্টটি সফলভাবে শেষ করেছে।
টেস্টটি শেষ হওয়ার পর এখন নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের কাজ শুরু হবে। হস্তান্তরের কাজ শেষ হলে গাজীপুরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নিয়ন্ত্রণ আসবে। এবং সেটি আগস্টের মাঝামাঝি সময় বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।
গেলো মাসের ১১ তারিখ মহাকাশে উৎক্ষেপণ হয়। উৎক্ষেপণের দশদিন পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিজ কক্ষপথে পৌঁছায়। এর পরপরই শুরু হয় ইন অরবিট টেস্ট, যেটি তিন সপ্তাহ ধরে চলবে বলা ধারণা করা হয়েছিল। স্যাটেলাইটি বাণিজ্যিক সেবা দেওয়ার জন্যে উপযুক্ত কিনা- এই টেস্টের মাধ্যমে তা যাচাই করে দেখা হয়। এই প্রকল্পের পরিচালক মো. মেসবাহউজ্জামান এর বরাতে জানা যায়, যাবতীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী সবই পরিকল্পনা মতো চলছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর অবস্থা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক ভালো রয়েছে।
এদিকে ইন অরবিট টেস্ট হওয়ার পরেই গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশনে স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ কাজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত এটা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেসের তিন গ্রাউন্ড স্টেশনে রয়েছে।
থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেসের স্যাটেলাইট প্রকোশলীরা গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশনের সব কাজ দেখভাল করছেন। তারা জানান, সবকিছু শেষ করে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে পুরোপুরি সুবিধাগুলো পেতে আরও তিন মাস লাগতে পারে। আর এর মাঝখানেই সব বাণিজ্যিক প্রস্তুতি শেষ করে ফেলা হেবে। এই কাজ শেষ হতে না হতেই দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের জন্যে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালেস ইতিমধ্যে তাদের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। সেই কাজে অর্থায়নেও আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন