নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০১৮
স্মার্টফোনে নতুন অ্যাপস ব্যবহার করে প্রতিনিয়তিই অন্যের হস্তগত হচ্ছে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য। বিশ্বে সেরা তথ্য ও প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোই এর সঙ্গে জড়িত। তবে তারা কি করছে এসব গোপন তথ্য নিয়ে? কখনো কি তা ভেবে দেখেছেন?
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি এর মাধ্যমে তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও সবচেয়ে বেশি। স্মার্টফোনের জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার অবস্থানের ওপর নজর রাখছে ফেসবুক। আপনার অজান্তেই ব্যক্তিগত সব তথ্য তুলে দিচ্ছে তৃতীয় কোনো কোম্পানির হাতে। শুধু তাই নয়, ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি যেসব জায়গায় চেক ইন দিচ্ছেন বা ইভেন্টে যোগ দিচ্ছেন তা অনুসরণ করে যাচ্ছে নিয়মিত।
ফেসবুকে ব্যবহারকারীর তথ্য মুছে ফেলার অধিকার থাকলেও, সঙ্গে সঙ্গেই তা নষ্ট করা হয় না। জানা গেছে, কমপক্ষে ছয় মাস এই তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
একই ধরনের কাজ করে যাচ্ছে আরেক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারও। আপনার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলেই তৃতীয় কোনো কোম্পানির কাছে তথ্য বেঁচে রমরমা ব্যবসা করছে টুইটার। যদিও তাঁরা এসব দায়ভার নিতে নারাজ।
’টিন্ডার’ নামক এক ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য বেমালুম বিক্রি করে যাচ্ছে তাঁর সহযোগী অন্যান্য ডেটিং অ্যাপ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। বিবিসির সূত্রমতে, ’ওকে কিউপিড’, ’প্লেনটি অফ ফিস’ ’ম্যাচিং ডট কম’ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য কিনে নেয় ’টিন্ডার’ অ্যাপের মাধ্যমে।
লিংকডইন তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে মাইক্রোসফটের কাছ থেকে। ২০১৬ সালে মাইক্রোসফট লিংকডইন কিনে নেয়ার পর থেকেই মাইক্রোসফট ব্যবহারকারীদের লিংকডইন অ্যাকাউন্ট না থাকলেও তথ্য কিন্তু ঠিকই চুরি হচ্ছে। এমনকি মেসেজ স্ক্র্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে পড়ে নিচ্ছে ব্যক্তিগত মেসেজগুলোও।
এদিকে, তথ্য চুরিতে থেমে নেই জনপ্রিয় ই-কমার্স ’অ্যামাজন’ ও শীর্ষ স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠান ’অ্যাপল’ ও। প্রাইভেসি পলিসির নামে আপনার গোপন তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে অন্য অ্যাপসগুলোকে।
মূলত প্রতিটি অ্যাপই আপনার সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করছে। কখনো আপনার অনুমতি নিয়ে আবার কখনো বা অনুমতি ছাড়াই। কাজেই প্রযুক্তির ব্যবহারে কেউই নিরাপদ নয় এ কথা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন