নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ০৯ জুলাই, ২০১৮
বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে আমরা সবক্ষেত্রে এগিয়ে গেছি এটা সত্য। কিন্তু প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যাবতীয় যন্ত্র এবং তা থেকে নির্গত বর্জ্য আমাদের পরিবেশের জন্য কতটা সহনশীল তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়ে।
তবে এই প্রযুক্তি পণ্যও ভবিষ্যতের দুষ্প্রাপ্য ধাতুর উৎস হতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করা হচ্ছে। খনি থেকে সরাসরি আকর উঠিয়ে তা শোধনের চেয়ে অনেক দ্রুত ও কম খরচে পুরাতন কম্পিউটার, মোবাইল ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিকস থেকে সীসা, ইরিডিয়াম, প্লাটিনাম এমনকি স্বর্ণও পাওয়া সম্ভব।
তবে এসব ধাতুর চেয়ে বাতিল পণ্য থেকে অ্যালুমিনিয়াম আর তামা পুনরুদ্ধার করা আরও বেশি প্রয়োজন। এমনিতেই খনিতে প্রতিদিন আকরের পরিমাণ কমেই যাচ্ছে। যদি এসব ধাতুর সঙ্গেই সেগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়, তাহলে খুব দ্রুতই বিশ্বে ধাতুর ঘাটতি দেখা দেবে বলে জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাক্যারে বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের সিংঘুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা নিয়ে গবেষণা চলছে। তাদের দাবি, ই-বর্জ্য বা বাতিল ইলেক্ট্রনিক্স থেকে ধাতু পুণরুদ্ধারে সরাসরি আকর শোধনের চেয়ে ১৩ ভাগ কম অর্থ ব্যয় হবে।
বর্তমানে ক্রমবর্ধমান ই-বর্জ্যের পরিমাণ অনেকটাই আশঙ্কাজনক। ২০১৬ সালে উৎপাদিত হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টন ই-বর্জ্য। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০২১ সালে তা ৫ কোটি টন ছাড়িয়ে যাবে। তবে ই-বর্জ্য শোধনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে বিশ্ব লাভবান হবে এতে সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে জলবায়ু দূষণের প্রকোপ কমবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন