নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ২০ জুলাই, ২০১৮
দেশে স্যাটেলাইট সেবা নিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে যাচ্ছে। আমাদের দেশের সরকারি আর বেসরকারি অনেক ব্যাংক ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা নেয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবা নিতে কাজ করছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিডেট। এজন্য তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিচ্ছে।
এবছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই সেবা প্রদান শুরু করার চেষ্টা করবে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন,সেপ্টেম্বর থেকে বঙ্গোপসাগরে যে জাহাজ আসবে তারা যাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেবা পাওয়া নিশ্চিত করা হচ্ছে। আর তার প্রথম ধাপ হিসেবে বিএসসিসিএল-এর সঙ্গে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে প্রতি বছরে প্রায় ৩৯ হাজার বেশি দেশি-বিদেশি জাহাজ যাতায়াত করে।চুক্তি অনুযায়ী সবাই এই সুবিধা পাওয়ার কথা। আর যেখান থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয় হবে ৪২ কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর পরবর্তী সেবার আওতায় রয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও ই-লার্নিং বিষয়ক সেবার সুবিধা নেবে এই স্যাটলাইট থেকে।
জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র এবং মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের চাহিদার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব মন্ত্রণালয়কে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নেওয়ার বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিসিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ১৬০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডউইথ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তারা স্যাটেলাইট থেকে সেবা নিতে ৪৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছেন।
সব মিলে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করতে খরচ হয়েছে দুই হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। আগামী সাত বছরের মধ্যে এই খরচ উঠবে আসবে বলে ধারণা হিসাব করেছে উৎক্ষেপণকারী সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন