নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ২২ জুলাই, ২০১৮
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সংক্ষেপে এটি এআই বলেই আমাদের কাছে বেশি পরিচিত। মানুষের মুখমণ্ডল এবং চেহারা স্ক্যান করে নিখুঁত পরিচয় সনাক্তের কাজটি এআই বেশ ভালোভাবেই করে। ফলে এআই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
এটাতো গেলো শুধু মুখ সনাক্ত করা। এবার সেটি এগোচ্ছে চেহারা থেকে মনের ভাব ধরার দিকে। আর সেই কাজে বেশকিছু কোম্পানির এআই যথেষ্ট সক্রিয় এবং পটু বলে দাবি করছেন সেই এআই নির্মাতারা।
আর মনের অবস্থা, আবেগ অনুভূতি যদি ধরতে পারা যায় তবে বিভিন্ন কাজে সেটা ব্যবহার করাই যাবে। এই যেমন- বিজ্ঞাপন একেবারে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ইতিমধ্যে কিছু সুপারশপে এটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ফলাফলও মোটামুটি ইতিবাচক। সেই সুপারশপে ক্রেতার মন খারাপ থাকলে তারা মন ভালো করার পণ্যকে বেশি প্রাধান্য দেবে।
সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এটি অনেক কাজে আসবে, এবং সেটা খুবই স্বাভাবিক। মানুষের আবেগকে স্ক্যান করার এআই তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠান উইসি। তারা মনে করছে, তারা সাধারণ সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ থেকেই কার মনে কী চলছে তা আন্দাজ করতে পারেন। সে তথ্য ব্যবহার করে কেউ হামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না তা নিরাপত্তা কর্মীদের জানিয়ে দিতেও পারবে। এটা নিঃসন্দেহে একটি আশার কথা।
প্রাথমিকভাবে এটি ভালো সাড়া ফেললেও আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,চেহারা চেনার ক্ষেত্রে এআই মোটামুটি ৯২ শতাংশ পর্যন্ত সফল, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ই। আর সেখানে মনের অবস্থা বুঝে উঠতে তার ভুল হবে, এটাও মেনে নিতে হবে।
তবে এ নিয়ে মতভেদও হচ্ছে কিছুটা। বিজ্ঞাপনের জন্য এ প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেছেন অনেকেই। কারও সুসময় বা দুঃসময়ের সুযোগে পণ্য বিক্রি অনেকেই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন