নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৮
মানুষ অভ্যাসের দাস, এই কথার সঙ্গে এখন জড়িয়ে রয়েছে মানুষ এখন প্রযুক্তির দাস হয়ে গেছে। কারণ এখানে ওখানে সবখানেই প্রযুক্তিকে মানুষ আরও আধুনিকতর করে তুলছে। আমরা যে ক্যাবল টিভি ব্যবহার করতাম, তার জায়গা দখল করেছে স্মার্ট টিভি। জায়গা সাশ্রয়ের পাশাপাশি ছবির মানও অনেক উন্নত হয়েছে স্মার্ট টিভি প্রযুক্তির জন্য। এই স্মার্ট টিভিকে আরও করতে কিছু অনুসঙ্গ নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।
ভালোমানের এইচডিএমআই ক্যাবল ব্যবহার করা
বর্তমান স্মার্ট টিভিগুলোর ভালো ভিডিও আউটপুটের জন্য এইচডিএমআই ক্যাবল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাজারে এখন বিভিন্ন দাম ও ব্র্যান্ডের এইচডিএমআই ক্যাবল পাওয়া যায়। সেগুলো নাগালের মধ্যের দামে পাওয়া যায় এখন। কমদামি বা খারাপ কোয়ালিটির ক্যাবল ব্যবহার করে ডিভাইসের সঙ্গে টিভি যুক্ত করলেও ভালো ভিউ পাওয়া যায়না। তাই এটা কেনার সময় ভালো মানের এইচডিএমআই ক্যাবল নিন।
মাথায় রাখুন ইন্টারনেট গতি
বড় আকারের এলইডি টিভি কেনার উদ্দেশ্যেই হলো নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন বা হটস্টারের অনলাইনস্ট্রি মিং সেবা ব্যবহার করা। অনলাইন স্ট্রিমিং করে কোনো ভিডিও দেখতে হলে ভালো গতির ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। তাই টিভির পাশাপাশি সব ফিচার উপভোগ করতে ভালো গতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে সবসময়ে।
টিভি দেখার সময়ে ন্যূনতম দূরত্ব রাখুন
শুধু টিভিটা কিনে ফেললেই হলো না, মাথায় রাখা উচিৎ আপনার ঘরটা কতো বড়। কারণ সাধারণত ৪ ফুট দূর থেকে যেকোনো ৩২ ইঞ্চির টিভি ভালোভাবে দেখা যায়। আর ৫৫ বা ৬৫ ইঞ্চির টিভি কিনলে দুরত্ব থাকতে হবে কমপক্ষে ৯ ফুট। এজন্য মোটামুটি একটা বড় মাপের ঘর প্রয়োজন। যাতে টিভি থেকে নির্দিষ্ট দুরত্ব পাওয়া যায়।
ডিসপ্লের সঠিক মোড ব্যবহার করা
টিভির ডিসপ্লে সেটিংস অপশনে বেশকিছু পিসেট থাকে। সাধারণত স্ট্যান্ডার্স পিসেট মোড ব্যবহার করাই ভালো। এছাড়া মুভি দেখার সময় মুভি অথবা ক্যামেরা মোড ব্যবহার করলে ভালো হয়। আর ডাইনামিক মোড ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এই মোডে অতিরিক্ত আলো থাকে। ফলে ভিডিও দেখতে অসুবিধা হয়। আর গেম খেলার সময়ে গেম মোড ব্যবহার করুন।
পাওয়ার সেভিং মোড বন্ধ রাখা
টিভিতে যে পাওয়ার সেইভিং মোড থাকে, তা বন্ধ রাখা উচিত। কারণ এটি ছবির কোয়ালিটি কমিয়ে পাওয়ার সেভ করে। ফলে ভিডিও কোয়ালিটি কিছুটা কমে যেতে পারে। ফলে দেখতে আপনি অস্বস্তিবোধ করবেন।
স্মার্ট ফিচারের বদলে আকারের প্রতি গুরুত্ব
একটি টিভি আকর্ষণীয়ই হয় তার নানা ফিচারের মাধ্যমে। একই দামের মধ্যে যদি স্মার্ট ফিচারের বদলে বড় টিভি নেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে টিভির আকারকে বেশি গুরুত্ব দিন। কারণ এটা মাথায় রাখবেন যে কখনো কখনো ফিচারের থেকে বড় আকারের টিভি গুরুত্বপূর্ণ।
সাউন্ড কোয়ালিটি
এই টিভিগুলোতে ডিফল্ট স্পিকার দেওয়া থাকে। তবে সব টিভিতেই ডিফল্ট স্পিকারের সাউন্ড কোয়ালিটি খুব ভালো নাও হতে পারে। তাই ভালো সাউন্ড পেতে আলাদা স্পিকার ব্যবহার করা উচিত। আর অবশ্যই ভালোমানের, গ্যারান্টিসহ স্পিকার কিনে নেবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন