নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৮
রুশ কোম্পানি ক্যাভিয়ার এবার নিয়ে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৯ এর গোল্ড এডিশন। ফোনটির বিশেষত্ব হলো এটি মেটালিক কপার, ল্যাভেন্ডার পার্পেল, ওশান ব্লু ও মিডনাইট ব্ল্যাক রঙে বাজারে আসছে। তবে সবচেয়ে বড় চমকটি হলো, এই ফোনের পেছনের কভারটি তৈরি করা হবে এক কেজি স্বর্ণ দিয়ে।
এর বাইরে অন্যান্য সংস্করণের ফোনের সঙ্গে গোল্ড এডিশনের কোনো পার্থক্য থাকছে না। জানা গেছে, ১২৮ জিবি স্টোরেজ সমৃদ্ধ ফোনটির দাম হবে ৪৯ লাখ ১২ হাজার ৬০০ টাকার কাছাকাছি। আর ২৫৬ জিবি স্টোরেজের ফোনটির দাম হবে প্রায় ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা। এর আগে গ্যালাক্সি এস৯ প্লাসের সানরাইজ গোল্ড এডিশন বের করেছিল স্যামসাং। ৬ দশমিক ৪ ইঞ্চির গ্যালাক্সির নোট ৯ এ ব্যবহৃত হয়েছে সুপার অ্যামোলেড এইচডি প্লাস ডিসপ্লে যার অ্যাস্পেক্ট রেশিও ১৮.৫ : ৯। এর রেজুলেশন ১৪৪০*২৯৬০ পিক্সেল। পড়ে গিয়ে যাতে ভেঙে না যায় তার জন্য আছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫।
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি নোট ৯ ফোনটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর এস পেন। সেলফি বা রিয়ার ক্যামেরাও চালু করা যাবে এস পেনের মাধ্যমে। ছবি তোলার জন্য ফোনটির দুই দিকেই আছে ১২ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল ক্যামেরা। ব্যাকআপের জন্য দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি। এর সঙ্গে রয়েছে দ্রুত গতির ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা। গ্যালাক্সি নোট ৯ এ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে দেওয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ ওরিও।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন