নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ২৫ অগাস্ট, ২০১৮
বাজারে অনেক ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে পাওয়া যায়। সামর্থ্য ও পছন্দ অনুযায়ী কেউ বেশি বাজেটের, আবার কেউ কম বাজেটের ফোন কেনেন। স্বাভাবিকভাবেই কম বাজেটের ফোন বেশি বাজেটের ফোনের তুলনায় অধিক শক্তিশালী হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কম বাজেটের অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলো কিছুদিন পর ধীরগতির হয়ে পড়ে। দুর্বল হার্ডওয়্যার, র্যামের স্বল্পতা ও অ্যাপের অপ্টিমাইজেশন ঠিকভাবে না হওয়ায় এই সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়। স্বল্প মূল্যের ফোনের গ্রাহকদের এসব সমস্যার কথা চিন্তা করে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বিশেষ একটি সংস্করণ বাজারে আনে গুগল। এই অপারেটিং সিস্টেমের নাম অ্যান্ড্রয়েড গো।
অ্যান্ড্রয়েড গো আসলে আর কিছুই নয়, জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের অ্যান্ড্রয়েডই একটি হালকা সংস্করণ। স্বল্প ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্ড্রয়েড ফোন অর্থ্যাৎ ৫১২ মেগাবাইট থেকে ১ গিগাবাইট র্যাম এবং ৮ ও ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ সমৃদ্ধ স্মার্টফোনে ব্যবহারের জন্য মূলত তৈরি করা হয়েছে এই অপারেটিং সিস্টেমটি। এমনকি ৫১২ মেগাবাইট র্যামের ফোনেও দারুণ ভাবে কাজ করে অ্যান্ড্রয়েড গো। অ্যান্ড্রয়েড গো যে কোনো অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড মূল সংস্করণ থেকে ১৫ শতাংশ দ্রুত পরিচালনা করতে পারে। ডেটা সেভার অপশন থাকার ফলে অপারেটিং সিস্টেমটির ব্যবহারকারীরা অপেক্ষাকৃত কম ডেটাতে সর্বাধিক ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে থাকেন।
এছাড়া গুগল অ্যান্ড্রয়েড গো ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ অ্যাপের সুবিধাও রেখেছে। যেহেতু কম শক্তিশালী হার্ডওয়ারের জন্যই এই ওএস, তাই সে অনুযায়ীই অ্যাপগুলোর গো সংস্করণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড গো স্মার্টফোনগুলোর জন্য গুগল নয়টি অ্যাপ বাজারে ছেড়েছে। এগুলো হলো- গুগল গো, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট গো, ইউটিউব গো, গুগল ম্যাপস গো, জিমেইল গো, জিবোর্ড গো, গুগল প্লে গো, ক্রোম ও ফাইলস গো। খুব কম র্যাম ও মেমরির সাহায্যে এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যায়। এর ফলে হার্ডওয়্যারের উপর বেশি চাপ পড়ে না আর ব্যাটারি ব্যাকআপও বেশি পাওয়া যায়। এসব কারণে ডিভাইস স্লো হওয়ার সমস্যা আর থাকে না এছাড়া মূল অ্যান্ড্রয়েডের সংস্করণের অধিকাংশ অ্যাপই অ্যান্ড্রয়েড গো প্লাটফর্ম সমর্থন করে।
বর্তমানে অ্যালকাটেল, নকিয়া, জেনারেল মোবাইল, লাভা, মাইক্রোমাক্স, অ্যাসুস, হুয়াওয়েসহ প্রায় সকল জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ফোনেই অ্যান্ড্রয়েড গো পাওয়া যাচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড গো চালিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ডিভাইস হচ্ছে অ্যালকাটেল ১এক্স, অ্যাসুস জেনফোন লাইভ এল১, জেটিই টেম্পু গো, লাভা জেড ৫০ নকিয়া ১, হুয়াওয়ে ওয়াই ৩ (২০১৮) জেনারেল মোবাইল জি এম ৮গো, মাইক্রোমাক্স ভারত গো প্রভৃতি।
উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের নাগরিকরাই সাধারণত অ্যান্ড্রয়েড গো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন