নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ২৭ অগাস্ট, ২০১৮
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফরম ইউটিউবে যারা কনটেন্ট নির্মাণ করেন, তাদের জন্য সুখবর নিয়ে আসছে স্বয়ং ইউটিউব। আগামী সপ্তাহ থেকে ইউটিউব ভিডিওতে বাধ্যতামূলক বিজ্ঞাপনের পরিসর বাড়ানো হবে। আর বিজ্ঞাপনের ভিডিও দেখার সময় তা বন্ধ করা যাবে না। এর ফলে কনটেন্ট নির্মাতার আয় বাড়বে।
এই বিষয়ে ইউটিউব জানাচ্ছে, এই প্ল্যাটফরমে নতুন একটি টুল বা ফিচার যোগ হচ্ছে। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের কনটেন্ট নির্মাতাদের সবার কাছেই নতুন এই ফিচার পৌঁছাবে। এছাড়া নতুন এই ফিচারের ফলে দর্শক সম্পৃক্ততা এবং ইউটিউবের মোট আয়ে কেমন প্রভাব পড়ছে তাও দেখা যাবে।
উল্লেখ্য যে, ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। তবে চাইলে ডান পাশে থাকা স্কিপ বাটনে ক্লিক করে বিজ্ঞাপন বন্ধও করা যায়। আর নতুন ফিচারটি চালু হলে বিজ্ঞাপনটি বন্ধ করা যাবে না। পুরো বিজ্ঞাপনটি শেষ হলে ভিডিও দেখা যাবে। এতে করে ইউটিউব কনটেন্ট নির্মাতাদের আয় বাড়লেও সাধারণ দর্শকদের জন্য অসুবিধা হবে বলেই মনে করেন প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা। অনেকের মতে, বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে না পারলে ইউটিউব হয়ে যাবে টিভির মতো। টিভিতে যেমন বিজ্ঞাপন চললে বাধ্য হয়ে মানুষকে দেখতে হয়, তেমনি ইউটিউবেও মানুষকে বাধ্য হয়ে বিজ্ঞাপন দেখতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন