নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলে ফুটবল উন্মাদনা মানেই সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন বা সাফ ফুটবল। তাই আমাদের ফুটবলপ্রেমীদের চোখই থাকে সাফ ফুটবলের দিকে। আর বাঙালিদের অনেকেরই স্বপ্ন এই স্বপ্নের ট্রফিটা নিজেদের ঘরে তুলে আনা। আর সেই উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
কারণ আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর টেলিভিশন সম্প্রচার যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। আর এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমেই টিভির লাইভ পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে অন্তত ২০টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনেকশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটিডেট (বিসিএসসিএল)।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রোডাকশনের দায়িত্বে আছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইন। তাদের কাছ থেকেই বিসিএসসিএল ফিড নিয়ে তা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দেওয়া হবে। আর এজন্য স্যাটেলাইট সম্প্রচারের কাজ ইতিমধ্যে এ কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
তবে এ নিয়ে কিছুটা সংশয়ও আছে। স্যাটেলাইটের প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এখন পর্যন্ত এমন পরীক্ষার বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস এখনো তাদেরকে স্যাটেলাইট বুঝিয়ে দেয়নি। এখনো একটি পরীক্ষা বাকি আছে। আর সেটি হওয়ার পরেই এ মাসের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্পকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আর তখন প্রকল্প থেকেও বিসিএসসিএলকেও বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আর সম্প্রচারের কারণে যদি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১- এ কোনো সমস্যা হলে তাহলে থ্যালাস কোনো দায়িত্ব নেবে না বলেই ঝুঁকিটা বেশি। তবে বিসিএসসিএল বলছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ঠিকভাবে মহাকাশে পৌঁছে তার কার্যক্রম করছে। তাই সমস্যার আশঙ্কা নেই। আর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১- এর ব্যবহার সার্ক অঞ্চলে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ভালো সুযোগ। কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরো কার্যক্রমে থ্যালাস তাদের সঙ্গে থাকবে। তাই এই সম্প্রচার নিয়ে আশাবাদের অনেকগুলো জায়গা রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন