নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এবার গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক তাদের সিমের ই-নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন সেবা চালু করেছে। গতকাল গুলশানের জিপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাটি মিডিয়ার কাছে তুলে ধরে গ্রামীণফোন।
ই-নিবন্ধন হলো একটি কাগজবিহীন সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া। এখানে গ্রাহকদের নতুন সিম কেনার জন্য ছবি কিংবা কোনো আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স) দিতে হবে না। গ্রাহক সিম বিক্রেতাকে শুধু তার নাম, আইডি নম্বর, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা ও আঙুলের ছাপ দিলেই নতুন সিম কিনে নিতে পারবেন।
এছাড়াও, আগের মতো কাগজে কলমের আনুষ্ঠানিকতার দীর্ঘ ঝামেলা গ্রাহককে আর পোহাতে হবে না। অর্থাৎ, কাগজের সব বিষয়গুলোও পূরণ করতে হবে না। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে বলে মনে করছে গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, এই উদ্যোগ একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবনকে সহজ করার পাশাপাশি, টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের ডিজিটালকরণকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাছাড়া, দীর্ঘমেয়াদে এটা পরিবেশ সংরক্ষণেও ইতিবাচক অবদান রাখবে।
তবে প্রাথমিকভাবে, ই-নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুধুমাত্র নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ধীরে ধীরে এ প্রক্রিয়া মালিকানা হস্তান্তরসহ (গ্রাহক ও করপোরেট), দ্বৈত দাবি, মৃত্যুর মামলা নিষ্পত্তি, এমএনপি এবং ঠিকানা পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে।
অবশ্য গ্রামীণফোনের আগেই গত সোমবার ব্যবস্থাটি চালু করেছে বাংলালিংক। বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সরকারের ইলেকট্রনিক ও কাগজবিহীন সিম রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানায়। এই উদ্যোগ মোবাইল গ্রাহকদের রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা আরও সহজ করবে ও গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
যেহেতু এই উদ্যোগের ফলে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার প্রয়োজন হবে না, সেহেতু এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগ হিসেবে এটিকে দেখছে বাংলালিংক। তারা একে দেশের ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে এটি এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে মনে করেন। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এই ই-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালুর দাবি করছিল অপারেটরগুলো। গ্রামীণফোন, বাংলালিংকের পর অন্য অপারেটরগুলোও হয়তো এই সেবা নিয়ে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন