নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ফেসবুক এবার এশিয়াতে আরও সক্রিয় হচ্ছে। প্রথমবারের মতো এশিয়াতে এবার ডাটা সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে তারা। দেশ হিসেবে বেছে নিয়েছে সিঙ্গাপুরকে। তবে এই ডাটা সেন্টারের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে ৪বছর। ২০২২ সালে স্থাপিত হবে এই ডাটা সেন্টার।
ফেসবুকের এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের ইনফ্রাসট্রাকচার ডাটা সেন্টারের প্রেসিডেন্ট থমাস ফারলগ বলেন, পুরো এশিয়ার মধ্যে এটাই তাদের প্রথম ডাটা সেন্টার হতে যাচ্ছে। এক লাখ ৭০ হাজার স্কয়ার মিটারের ডাটা সেন্টারটি স্থাপনে ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ডলার। এখানে অনেকের কর্মসংস্থানও হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনে ডাটা সেন্টার তৈরি করেছে ফেসবুক। এছাড়াও ডেনমার্কে একটি ডাটা সেন্টার নির্মাণের কাজ চলছে। সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলে ফেসবুক ডাটা সেন্টার তৈরির সেই স্থানেই গুগলও তাদের ডাটা সেন্টার তৈরি করবে। এটি নির্মাণে বিনিয়োগ ধরা হয়েছে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার। এশিয়া অঞ্চলে মোবাইলের ব্যবহার বৃদ্ধি, ই-কমার্স ব্যবসায়ের প্রসার ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই সিঙ্গাপুরকে বেছে নিয়েছে ফেসবুক ও গুগল।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন