নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কিউবি তাদের ব্যক্তিগত গ্রাহকদেরকে ওয়াইম্যাক্স সেবা দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। গত ৩০ আগস্টেই তারা গ্রাহকদের সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছেন গ্রাহক এবং অপারেটরটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে ব্যবসায় পুরোপুরি গুটিয়ে না নিলেও ব্যবসায়ের পরিধি অনেকদিন ধরেই কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে কিউবি। সেই প্রক্রিয়ায় এখন শুধু কর্পোরেট গ্রাহকদের সেবা দেবেন তারা, ব্যক্তিগত গ্রাহকদের নয়।
চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত কিউবির মোট ১৬ হাজার গ্রাহক থাকলেও এর মধ্যে ১২ হাজারই ছিল ব্যক্তিগত পর্যায়ের গ্রাহক। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী অপারেটর বাংলালায়নের সঙ্গে চুক্তি করেছিল কিউবি। যাতে করে কিউবি গ্রাহকরা বাংলালায়নের সঠিক সেবা পান। কিন্তু ১২ হাজারের মধ্যে মাত্র হাজার দুয়েক গ্রাহক শেষ পর্যন্ত বাংলালায়নের কাছে গেছে বলে জানা গেছে।
এই পরিকল্পনার আগে ভাবা হয়েছিল যে, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। কিন্তু পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হতে না পারার কারণে অপারেটরটির সিইও পদত্যাগ করায় প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যায়। তবে গ্রাহক হস্তান্তর করতে গিয়ে কিউবি তাদের গ্রাহকদেরকে চিঠি দিয়ে বাংলালায়নের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানায়।
কিউবি কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়াইম্যাক্স সেবার চল বিশ্বব্যাপী কমে গিয়েছে। আর তাই তারা নিজেদের সেবার ধরন বদলে এলটিই-তে চলে যাচ্ছে। আর সে কারণেই গ্রাহকদেরকে তারা অপর একটি এলটিই প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করছেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কিউবি এলটিই চালু করার পর নতুন করে এসব গ্রাহককে আবার তাদের সেবা নেওয়ার আহবান জানানো হবে বলেও বলছেন দায়িত্বশীলরা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে নিলামের মাধ্যমে ২১৫ কোটি টাকায় ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) লাইসেন্স পাওয়ার পরের বছরে সেবা চালু করে তারা। এরপর ২০১৩ সালে দেশে থ্রিজি মোবাইল সেবা চালু হওয়ার পর থেকে দেশে ওয়াইম্যাক্স একটি বড় ধাক্কা খায়। এই চ্যালেঞ্জ আর কাটিয়ে ওঠা তাদের পক্ষে কখনই সম্ভব হয়নি বলে ব্যক্তিগত গ্রাহক সেবা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন