নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন এবার বাংলাদেশে আসছে। জানা গেছে, শতভাগ সরাসরি বিনিয়োগ নিয়েই তাদের এদেশে আগমন ঘটছে। ২০২০ সালের শুরুতেই বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করবে অ্যামাজন। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান মার্কেট ভ্যালু ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বছরের প্রথমদিকে অ্যামাজনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ এসে ঘুরে গেছেন। তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্তও তারা জানান।
চীনা নামকরা টেক প্রতিষ্ঠান আলিবাবা এদেশে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কিনে বা কোনো অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু অ্যামাজন এফডিআই করে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্টের অনুমোদনে ‘অ্যামাজন বাংলাদেশ’ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করবে। তবে শুরুতেই এই বিনিয়োগের পরিমাণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সফরের সময়ে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), ব্যাংকিং খাত, বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে বৈঠক ও আলোচনা করে গেছেন। গতকাল শনিবার দেশীয় ই-কমার্স খাতের ভবিষ্যত রোডম্যাপ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকের বক্তব্যে অ্যামাজনের বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি তুলে ধরেন এটুআইয়ের ইএম সলিউশনস আর্কিটেক্ট অ্যান্ড ই-কমার্স টিম। জানা গেছে, এটুআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের একশপ ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসের অবকাঠামোগত সুবিধা চেয়েছে অ্যামাজন। যদিও এখন পর্যন্ত একশপ অ্যামাজনের সঙ্গে যুক্ত নয়।
অ্যামজনের সঙ্গে বৈঠক করা দেশিয় একটি দপ্তরের ই-কমার্স খাত বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্তমান বিদেশি বিনিয়োগ নীতি অনুয়ায়ী এই সুবিধা পেতে অ্যামাজনের কোনো বাধা নেই।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন