নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলা আবার এনেছে ওয়্যারলেস পোর্টেবল চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংক। এর আগে গত মাসে স্মার্টফোনের জন্য নতুন এই পাওয়ার ব্যাংকটি বাজারে আনা হয়। মজার বিষয় হলো, বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই দ্রুত ফুরিয়ে যায় এই ওয়্যারলেস চার্জার।
টেসলা ৬৫ মার্কিন ডলারের এই চার্জারটি আবার বাজারে আনছে গ্রাহকের কথা বিবেচনা করে। তবে এবার প্রায় ১৫ মার্কিন ডলার মূল্যছাড় দিচ্ছে তারা। অর্থাৎ, আগের গ্রাহক যারা ৬৫ মার্কিন ডলারে পণ্যটি কিনেছেন তাদেরকে ১৫ ডলার ফেরত দেওয়ার কথা নিজেরাই জানিয়েছে টেসলা।
গাড়ির পাশাপাশি নিয়মিতভাবেই লাইফস্টাইল পণ্য বাজারে আনছে প্রতিষ্ঠানটি। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ডেস্কটপ এবং পোর্টেবল চার্জারের সঙ্গে যোগ হয়েছে ওয়্যারলেস চার্জার। ডিভাইসটি দিয়ে তার ছাড়া স্মার্টফোন চার্জ করা গেলেও এতে বাড়তি ইউএসবি-সি ও ইউএসবি-এ কেবলও রাখা হয়েছে। গ্রাহক চাইলে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো ওয়্যারলেস চার্জিং ছাড়াও সরাসরি ইউএসবি কেবল দিয়েও চার্জ করতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য ইউএসবি কেবল থাকলেও এতে আইফোনের লাইটনিং কেবল রাখা হয়নি। ফলে ওয়্যারলেস চার্জিং সমর্থন না করা ডিভাইসগুলো এতে চার্জ করা যাবেনা।
টেসলার ওয়্যারলেস চার্জার সাদা ও কালো দুই রঙে পাওয়া যাবে। ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ারের এই চার্জারের সর্বোচ্চ আউটপুট বলা হয়েছে পাঁচ ওয়াট। ফলে খুব বেশি ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করবেনা এই চার্জার। আর সরাসরি কেবল দিয়ে চার্জ দিলে সর্বোচ্চ আউটপুট পাওয়া যাবে ৭ দশমিক ৫ ওয়াট।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন