নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৩ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আইফোন মানেই নতুন চমক, প্রত্যাশা আর অপেক্ষার অবসান। অবশেষে অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল তাদের নতুন সংস্করণের তিনটি আইফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধভার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্টিভ জবস থিয়েটারে অ্যাপল প্রধান টিম কুক নতুন আইফোনের উন্মোচন করেন। সর্বাধুনিক এই আইফোনের নাম দেওয়া হয়েছে আইফোন ১০ এস। বুধবার রাতে আরও দুটি নতুন আইফোনের ঘোষণা করা হয়েছে, ১০এস ম্যাক্স এবং ১০আর।
কি থাকছে আইফোন ১০এস ও ১০এস ম্যাক্সে
আইফোন ১০এস ও ১০এস ম্যাক্সের ডিভাইসের ডিসপ্লের আকৃতি যথাক্রমে ৫ দশমিক ৮ এবং ৬ দশমিক ৫ ইঞ্চি। এতে রয়েছে ৪৫৮ পিপিআই ও এলইডি এইচডিআর ডিসপ্লে। হ্যান্ডসেট দুটির এ১২ বায়োনিক চিপসেটের ৭ ন্যানোমিটারের প্রসেসর আগের এ১১ চিপ থেকে ৩০ শতাংশ উন্নত। এই প্রসেসরটিও তৈরি করেছে অ্যাপল।
ডুয়েল ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার একটি ওয়াইড লেন্স এবং আরেকটি টেলিফটো লেন্স। সেলফি ও ভিডিও চ্যাটিং এর জন্য সামনে ৭ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। অ্যাপল দাবি করছে ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে আগের আইফোন ১০ থেকে আরও ভালোমানের প্রোটেইট মোডে ছবি তোলা যাবে।
এতে আরও রয়েছে আইপি৬৮ সার্টিফাইড পানিরোধক সুবিধা। এর ফলে ডিভাইসটি ২ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ব্যবহার করা যাবে। আগের আইফোন থেকে নতুন ফেস আইডি আরও দ্রুত কাজ করবে। ফলে ফোনটি আরও দ্রুত আনলক করা যাবে। স্টোরিও স্পিকার সুবিধা থাকায় গেমিং, মিউজিক ও মুভি দেখা যাবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যে। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রাখা হয়েছে আইওএস ১২। ডিভাইস দুইটি রঙেও রাখা হয়েছে বৈচিত্র্য। গোল্ড, সিলভার ও স্পেস গ্রে রঙে পাওয়া যাবে।
আইফোন ১০এস ও ১০এস ম্যাক্সে ৬৪, ১২৮ এবং ৫১২ ইন্টারনাল মেমোরির সংস্করণ থাকছে। আইফোন দুটির দাম শুরু হয়েছে ৯৯৯ ও ১০৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। আগামীকাল ১৪ তারিখ থেকে ফোন দুটির প্রি-অর্ডার শুরু হবে। আর আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে বিক্রি শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে।
আইফোন ১০আর
আরেক চমক আইফোন ১০আর এ রয়েছে ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি লিকুয়েড রেটিনা এলসিডি ডিসপ্লে। পেছনে ১২ মেগাপিক্সেল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সের ক্যামেরা থাকছে, এতে প্রোটেইট মোডে ছবি তোলার সুবিধা রয়েছে। আইফোন ১০এস-এর মতো ফেস আইডি সুবিধাও আছে। প্রসেসর এ১২ বায়োনিক চিপের, অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ১২। এতে ৬৪, ১২৮ ও ২৫৬ ইন্টারনাল মেমোরি সংস্করণে রাখা হয়েছে। রঙ হিসেবে থাকছে সাদা, লাল, নীল, হলুদ এবং কালো। এটির দাম ধরা হয়েছে ৭৪৯ মার্কিন ডলার। এই ফোনের প্রি-অডার শুরু হবে ১৯ অক্টোবরে। আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসবে ২৬ অক্টোবর।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন