নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ব্রডকাস্ট সুবিধা নিতে দেশের সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদেরকে একথা জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সম্প্রচারের মাধ্যমে কোনো সমস্যা ছাড়াই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পরীক্ষা সফলও হয়েছে। ফলে অন্য সব চ্যানেলগুলোও এখন আস্থা পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। সরকারি চ্যানেল বিটিভি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই খেলা সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
তারানা হালিম জানান, এখন থেকে বিটিভি বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সব সম্প্রচার করবে, অন্যকোনো স্যাটেলাইট আর প্রয়োজন হবে না। অন্য স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচারে বিটিভির বছরে অন্তত ছয় কোটি টাকা খরচ হতো। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করায় এখন থেকে এই টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানান তারানা হালিম। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ব্যবহার হোক এবং দেশের টাকা দেশেই থাকুক।’
এদিকে পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের প্রথম ধাপটা সাফল্যের সঙ্গে শেষ করায় স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কমিউনেকশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটিডেট (বিসিএসসিএল)। আগামী অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাণিজ্যিক সম্প্রচারের প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করেছে বিসিএসসিএল। এ বিষয়ে স্থানীয় বেসরকারি টেলিভিশনগুলোকেও প্রস্তুতি নিতে বলেছে বিসিএসসিএল। তবে তার আগে স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালাস আরও একটি টেকনিক্যাল পরীক্ষা করবে। এরপর স্যাটেলাইটটিকে বিসিএসসিএলের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন