নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট হিসেবে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা সবার চেয়ে উপরে। ইউটিউবে চ্যানেল খুলে বিভিন্ন ভিডিও শেয়ার করে বিভিন্ন সময়ে অনেকে জনপ্রিয় হয়েছেন, নাম এবং অর্থ দুটোই কুড়িয়েছেন। এবার একটি চ্যানেল বিক্রি করে সাধারণ এক দম্পতি রীতিমত কোটিপতি বনে গেছেন।
লন্ডনের দিরেক ও ক্যানিচ হোল্ডার দম্পতি অনেকটা শখের বশে ‘লিটল বেবি বাম’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন। এ চ্যানেলটিতে মূলত বিভিন্ন ভাষায় থ্রিডি অ্যানিমেশনের ভিডিওর মাধ্যমে শিশুদের জন্য ছড়া ও গান দেখানো হয়।
সেই চ্যানেলটিই সম্প্রতি কিনে নিয়েছে মুনবার্গ নামে একটি এজেন্সি। তবে কতো টাকার বিনিময়ে সেই লেনদেন হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে চ্যানেলটি কিনতে মুনবার্গের প্রায় ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭১ কোটি টাকা!
বর্তমানে নার্সারি রাইম নিয়ে শিক্ষণীয় ও মজার সব ভিডিও খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে৷ ১৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার নিয়ে চ্যানেলটি ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা শীর্ষ নবম চ্যানেল। এই চ্যানেলে নার্সারির বাচ্চাদের ছড়া নিয়ে ৫৪ মিনিটের একটি ভিডিও রয়েছে। যা দেখা হয়েছে দুইশ’ কোটি বার। এটি ইউটিউবের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিওর তালিকায় শীর্ষ ২০ এ রয়েছে।
মুনবার্গ এজন্সি প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনির সাবেক কর্মী রিনি রেকটম্যান ও তার দুই সহকর্মী আলফ্রেড খাব ও জন রবসন। তারা নতুন এই এজেন্সি গড়ে তুলেছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই চ্যানেলটি কিনে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কী কাজে ও নতুন কী ধরনের ভিডিও দেওয়া হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রতিষ্ঠানটি এখনো জানায়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন