নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
রাজধানীতে পরিবহন সেবা উবার বেশ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর ঢাকার বাইরে সাভার এবং গাজীপুরেও সেই সেবা বর্ধিত হয়েছে। এবার ইন্টারসিটি সার্ভিস হিসেবে নারায়ণগঞ্জেও পৌঁছে গেলো উবার। অর্থাৎ, এখন থেকে উবারে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জেও যাত্রীসেবা পাওয়া যাবে।
উবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইন্টারসিটি হিসেবে নারায়ণগঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে। তারা জানা‘য়, এখন ইন্টারসিটি রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে যাত্রীরা ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত এই সার্ভিস নিতে পারবেন।
জেনে নিন কীভাবে কাজ করে উবার ইন্টারসিটি:
১. উবার অ্যাপ খুলে আপনার পছন্দমতো গন্তব্যস্থল (সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভাওয়াল ইত্যাদি) ঠিক করুন।
২. এবার সেই অ্যাপে উবার ইন্টারসিটি অপশনটি দেখা যাবে।
৩. এরপর বুকিং কনফার্ম করলেই উবারের গাড়ি চলে আসবে।
৪. অ্যাপ আপনাকে যাত্রার সম্ভাব্য ভাড়া জানাবে। মূল ভাড়া নির্ধারিত হবে ট্রিপের ভ্রমণ দূরত্ব ও সময় অনুযায়ী।
৫. ওয়ান ওয়ে ট্রিপের ক্ষেত্রে যদি ট্রিপটি ঢাকার সার্ভিস এলাকার বাইরে শেষ হয় তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরতি ভাড়া যোগ হয়ে যাবে। ফিরতি ভাড়া সাভার, গাজীপুর বা নারায়ণগঞ্জে ভ্রমণকৃত দূরত্ব অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।
৬. রাউন্ড ট্রিপের ক্ষেত্রে পুরো ট্রিপের দূরত্ব এবং অতিবাহিত সময় অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারিত হবে।
ইন্টারসিটি সার্ভিসের ভাড়া কতো হবে
উবার ইন্টারসিটি সার্ভিসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৯৯ টাকা। প্রতি মিনিট চার্জ ৩ টাকা, প্রতি কিলোমিটার চার্জ ২২ টাকা এবং ক্যানসেলেসন ফি ৫০ টাকা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন