নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আমাদের হাতে আসা ফোনের জগতে সবার আগেই নোকিয়ার নামটি আসবেই। এই ফোনটি তার ফিচার, ডিজাইন আর পারফরমেন্স আজও যেকোনো ফোনের জনপ্রিয়তাকে টপকে যেতে পারদর্শী। সেই নোকিয়া এবার সময়ের চাহিদাকে মাথায় রেখে গেমিং স্মার্টফোনের দিকে নজর দিয়েছে।
বর্তমানে গেমিং স্মার্টফোনের কদর দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি রেজার, আসুস, শাওমি, স্যামসাং ও হুয়াওয়ের মতো স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানগুলো গেমিং ফোন বাজারে আনছে। তাদের সাথ ধরেই নোকিয়াও তাদের গেমিং স্মার্টফোন নিয়ে আসছে।
সম্প্রতি ভারতের নোকিয়া বিভাগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে একটি টিজার ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ১০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে কয়েকটি গেইমের প্লেব্যাক দেখিয়ে বলা হয়েছে গেম খেলার জন্য আপনি প্রস্তুত কিনা। সেই ভিডিওতে একটি ফোনের ডিজাইন দেখানো হয়েছে। আর সেটি দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে এটি নোকিয়ার ফ্ল্যাগশিপ গেমিং ফোন হতে যাচ্ছে। আর ডিভাইসটির নাম হতে পারে ‘নোকিয়া ৯’।
কি থাকতে পারে এই ফোনে
পূর্বে প্রকাশিত কিছু খবর থেকে জানা যায়, নোকিয়া ৯ ফোনে কোনো নচ থাকবে না। ফোনটিতে থাকতে পারে ৮ গিগাবাইট র্যাম এবং ২৫৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরি। ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লেতে নিরাপত্তা সুবিধা দিতে মিলবে কর্নিং গরিলা গ্লাস প্রযুক্তি। ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তির পাশাপাশি ব্যাকআপ সুবিধা দিতে ৩ হাজার ৯০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি থাকতে পারে। প্রসেসর হিসেবে থাকতে পারে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ চিপসেট।
আর ছবি তোলার জন্য পিছনে থাকতে পারে ৪১, ২০, ৯ দশমিক ৭ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরা । থাকবে ৪এক্স অপটিক্যাল জুম ও এলইডি ফ্ল্যাশ। ফোনটি কবে নাগাদ আসবে তা নিয়ে নোকিয়া এখনো কোনো তথ্য না দিলেও এই বছরের মধ্যেই ফোনটি পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন