নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮
এবার স্মার্টফোনের পাশাপাশি গেমিং ল্যাপটপ বাজারে এনেছে অন্যতম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রেজার। বিশেষ করে গেমপ্রিয় গেমারদের জন্য তাদের এই সংস্করণ। ৬ মাস আগে বাজারে আসা রেজার ব্লেড ১৫ ল্যাপটপের আপডেট সংস্করণ হতে যাচ্ছে এই গেমিং ল্যাপটপটি।
কী রয়েছে এই ল্যাপটপে
রেজার তাদের এই নতুন ল্যাপটপটির নাম দিয়েছে ‘ রেজার ব্লেড ১৫ ডুয়েল স্টোরেজ এডিশন’। এই নামকরণের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে মূলত স্টোরেজ সুবিধা দিতে এতে রয়েছে একটি এসএসডি ও আরেকটি প্রথাগত হার্ডড্রাইভ। এতে রয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি ফোরকে ডিসপ্লে। অ্যাপলের ম্যাকবুকের মতোই এটির বডি অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। এতে ২ দশমিক ২ গিগাহার্টজ অষ্টম জেনারেশন কোর আই৭ প্রসেসর এবং ১৬ জিবি র্যাম রয়েছে। স্টোরেজ সুবিধার জন্য ১২৮ জিবি এসএসডি ও ১ টেরাবাইট হার্ডড্রাইভ রয়েছে।
ভালো গেমিং সুবিধা দিতে ডিভাইসটি জিটিএক্স ১০৬০ অথবা ১০৭০ গ্রাফিক্স কার্ডের পৃথক সংস্করণে পাওয়া যাবে। ডিভাইসটিতে একটি থান্ডারবোল্ট, মিনি ডিসপ্লে ও এইচডিএমআই পোর্ট রয়েছে। এছাড়া চার্জিং, ৩ দশমিক ৫ এমএম হেডফোন জ্যাক ও মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট রয়েছে। সম্পূর্ণ চার্জে ল্যাপটপটি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ব্যাকআপ সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছে রেজার কর্তৃপক্ষ। ল্যাপটপটির ওজন ৪ দশমিক ৪৮ পাউন্ড।
এর মূল্য শুরু হয়েছে এক হাজার ৮৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। জিটিএক্স ১০৬০ ম্যাক্সকিউ জিপিইউ ও ১২৮ এসএসডি সমৃদ্ধ মডেলটির মূল্য ১ হাজার ৫৯৯ মার্কিন ডলার। এছাড়া জিটিএক্স ১০৭০ ও ৫১২ এসএসডির সংস্করণটির দাম পড়বে দুই হাজার ৫৯৯ মার্কিন ডলার। এর জনপ্রিয়তা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন