নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৪ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে গতকাল মেট ২০ সিরিজের চারটি ফোনের ঘোষণা দিয়েছে। লন্ডনে এক ইভেন্টের মাধ্যমে উন্মোচন করা ফোনগুলো হলো- মেট ২০, মেট ২০ প্রো, মেট ২০ আরএক্স ও মেট ২০ এক্স। কী থাকছে এই ফোনগুলোতে, জেনে নেবো আজকে-
মেট ২০
ফোনটিতে রয়েছে ৬ দশমিক ৫৩ ইঞ্চির ১০৮০ রেজুলেশনের ফ্ল্যাট এলসিডি ডিসপ্লে। পিছনে তিনটি ক্যামেরা রয়েছে মেট ২০ এর। এর মূল ক্যামেরাটি ১৬ মেগাপিক্সেল, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ১২ এবং টেলিফটো লেন্সের আট মেগাপিক্সেল। ফ্ল্যাশ তো রয়েছেই। অ্যাডভান্সড ফেস স্ক্যানারসহ সামনে রয়েছে ২৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সঙ্গে রয়েছে ৯৮০ কিরিন চিপসেট। চার ও ছয় জিবি র্যামের সঙ্গে ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজও থাকছে।
মেট ২০ প্রো
মেট ২০ প্রো অনেক আগে থেকেই বেশ আলোচিত ফোন। গতকালই হুয়াওয়ে এই ফোনটির ঘোষণা দিয়েছে। ফোনটিতে রয়েছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ওএসের সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই। অপারেটিং সিস্টেমটি এর আগে শুধুমাত্র পিক্সেল এবং এসেনশিয়াল ফোনে ছিল।
ফোনটি ইএমউইআই ৯ দিয়ে চলবে বলে এটি আরও নিরাপদ হবে। হুয়াওয়ে তাদের ফোনে অ্যাপ লক প্রযুক্তি দেখিয়েছে। যাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেসের সাহায্যে আনলক করা যাবে। ফোনটির ডিসপ্লেতেই রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সুবিধা।
মেট ২০ প্রো ফোনে থাকছে থ্রিডি ডেপথ সেন্সিং ক্যামেরা। ফোনটির সামনে রয়েছে ২৪ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। যেটা দিয়ে সহজেই ফেইস আনলক করা যাবে। আর সেলফি আগের চেয়ে আরও উন্নত ও খুব কম আলোয় ভালো রেজুলেশনের হবে।
মেট ২০ প্রোতে রয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে। যার রেজুলেশন ১৪৪০ পিক্সেল। এতে রয়েছে কিরিন ৯৮০ প্রসেসর। এতে আগের চেয়ে ৫১ শতাংশ বেশি গতিতে কাজ করা যাবে। ব্যাটারি রয়েছে ৪২০০ এমএএইচ। ফোনটিতে পিছনে তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। সেগুলো ৪০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা, আল্ট্রা ওয়াইড ২০ মেগাপিক্সেল ও ৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো সেন্সর ক্যামেরা।
মেট ২০আরএক্স
লাক্সারি পোর্শা ডিজাইনের মেট ২০ আরএক্সের ঘোষণাও এসেছে হুয়াওয়ে থেকে। ডিভাইসটির সঙ্গে মেট ২০ প্রোএর অনেক ফিচার মিল থাকলেও এটিতে আরও আধুনিক কিছু সুবিধা থাকছে।
মেট ২০ এক্স
মেট ২০ এক্স এ থাকছে ১০৮০ রেজুলেশনের ৭ দশমিক ২ ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে। এস পেনের সুবিধা রয়েছে যার নাম এম পেন। ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি থাকছে এতে। যা দ্বারা ২৩ ঘণ্টার ভিডিও ব্যাকআপ থাকবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন