নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ০৭ নভেম্বর, ২০১৮
ছবি তোলার জন্য ডিএসএলআর বা ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরাই আমাদের কাছে সুপরিচিত ছিল। তবে কিছুদিন থেকেই মিররলেস ক্যামেরার চাহিদা আর জনপ্রিয়তা ডিএসএলআরকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে এবার আসছে অ্যান্ড্রয়েডচালিত আরও উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা। এতে ব্যবহার করা যাবে ক্যাননের সব ধরনের লেন্স।
এ ক্যামেরা তৈরি করেছে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ংনুয়ো। ইয়ংনুয়ো তাদের ওয়াইএন৪৫০ মডেলের স্মার্টফোনের মাপের ক্যামেরাটির ছবি সম্প্রতি সবার সামনে উন্মোচন করেছে। এতে করে ক্যামেরাটির স্পেসিফিকেশনগুলো সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে।
এই ক্যামেরাটিতে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল ফোর থার্ড সেন্সর। এর মাধ্যমে ছবির প্রকৃত রূপই পাওয়া যাবে। ইয়ংনুয়ো ওয়াইএন৪৫০ ক্যামেরায় ৩০ এফপিএস ফোরকে ভিডিও করা যাবে। সেলফি তোলার জন্য থাকছে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্কও ব্যবহার করা যাবে। এতে ওয়াইফাইও কাজ করবে।
এতে রয়েছে কোয়ালকমের অক্টাকোর প্রসেসর। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের নুগাট সংস্করণ। ৩ জিবি র্যামের এ ফোনে রয়েছে ৩২ জিবি ইনবিল্ট স্টোরেজ, যা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে আরও ৩২ জিবি বাড়ানো যাবে। ক্যামেরাটির পিছনে রয়েছে ৫ ইঞ্চি টাচক্রিন। স্টিরিও মাইক ও ৩ দশমিক ৫ এমএম হেডফোন জ্যাকও থাকছে। ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পায়ার ব্যাটারিসম্পন্ন এই ফোনের মূল্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন