নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৮ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮
বহু প্রতীক্ষার পর প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে রাস্তায় নামতে যাচ্ছে চালকবিহীন গাড়ি। ট্যাক্সির মতোই অর্থ খরচের মাধ্যমে ওই গাড়িতে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।
আগামী মাসে অর্থাৎ, ডিসেম্বরেই রাস্তায় নামতে যাচ্ছে টেক জায়ান্ট গুগলের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ওয়েমোর তৈরি করা বিশেষ প্রযুক্তির গাড়িগুলো।
চালকবিহীন গাড়িগুলো নতুন ব্র্যান্ডের নামে চলবে। এটি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবার ও লাইফটের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে ওয়েমো এই বিশেষ পরিবহন সেবার নাম গোপন রেখেছে। প্রথমে ছোট আকারেই সেবাটি চালু করা হবে।
এ বিষয়ে গুগল আর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের প্রযুক্তিবিদরা এক দশক ধরে চালকবিহীন গাড়ি তৈরি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাহকদের নিরাপত্তা দেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের চাহিদা নিশ্চিতের চেষ্টা করেছে তারা।
ওয়েমোর এক মুখপাত্র সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের শুরুতেই এই সেবা চালু করা হবে। তবে সেবাটি কবে উদ্বোধন হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, বাণিজ্যিকভাবে চালকবিহীন গাড়ির সেবা শুরু হলে তা হবে মাইলফলক। ওয়েমো এখনো বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরুর পরিকল্পনা করেনি। এ সংক্রান্ত অ্যাপও শিগগির ছাড়ার পরিকল্পনা নেই।
চালকবিহীন গাড়ির গ্রাহক নির্বাচনে বেশ কৌশলী হতে যাচ্ছে ওয়েমো। তারা ‘আর্লি রাইডার’ নামে প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রাহক নির্বাচন করবে। এর আওতায় এক বছরে প্রায় ৪০০ পরিবার চালকবিহীন গাড়ির সেবা নিতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন