নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৮
নতুন করে আরও তিন ক্যাম্পাসে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বর্তমান জনপ্রিয় অ্যাপভিত্তিক বাইসাইকেল শেয়ারিং সেবা জোবাইক। নভেম্বরের শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ডিসেম্বরে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০১৯ এর জানুয়ারিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রম শুরু করবে জোবাইক।
এর আগে জোবাইক গত জুনে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে এবং গত জুলাইয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইসাইকেল রাইড শেয়ারিং সেবা শুরু করে।
জোবাইকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মেহেদী রেজা জানান, এই শেয়ারিং সেবার মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা সফল এবং জনপ্রিয় হতে পেরেছেন। তাই অনুপ্রাণিত হয়েই এবার আরও তিন ক্যাম্পাসে সেবার পরিধি বাড়াতে যাচ্ছে তারা।
জোবাইক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সেবার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা শেষ করে ফেলেছ। এখন সেখানে স্ট্যান্ড বানানো এবং অন্যান্য কাজ চলছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রথমদিকে সেখানে ১০০ বাইসাইকেল দিয়ে কাজ শুরু করবে জোবাইক।
শাবিপ্রবিতেও জোবাইক চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেও প্রাথমিক কথাবার্তা শেষ হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে জোবাইককে আশ্বস্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ছেলে-মেয়ে উভয়ের ব্যবহার উপযোগী হিসেবে তৈরি জোবাইকের স্মার্ট এই সাইকেলের সঙ্গে আছে অত্যাধুনিক লক, সোলার প্যানেল, জিপিএস ইত্যাদি। এই সাইকেলের লক খোলার জন্য দরকার হবে একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। অ্যাপ ডাউনলোড করে, অ্যাকাউন্ট খুলে, সাইকেলের সঙ্গে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে সাইকেলটি ব্যবহার করা যাবে।
সাইকেলটি ব্যবহারের জন্য প্রতি পাঁচ মিনিটে গুণতে হবে তিন টাকা। অ্যাপের মাধ্যমে সাইকেলের লক খোলার সঙ্গে শুরু হবে সময় গণনা। গন্তব্যে পৌঁছে ব্যবহারকারী যখন সাইকেলটি স্ট্যান্ড করে আবার লক করবেন তখন তার রাইডটি শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন