নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৭ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮
সার্চ জায়ান্ট গুগল এবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সাংবাদিকতার মান উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য চ্যালেঞ্জপূর্ণ নতুন উদ্ভাবনী প্রকল্পে অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে দ্য এশিয়া প্যাসিফিক গুগল নিউজ ইনিসিয়েটিভ বা জিএনআই।
জিএনআই জানিয়েছে, সংবাদ পরিবেশনায় নির্বাচিত প্রকল্প প্রস্তাবের জন্য তারা তিন লাখ ডলার পুরস্কার দেবে। একইসঙ্গে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন খরচের ৭০ শতাংশও বহন করবে তারা।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে গুগল নিউজ নতুন উদ্ভাবনী প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে। ২৮ নভেম্বর থেকে প্রকল্প প্রস্তাব নেওয়া শুরু হবে। চলবে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। তাদের এই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাঠকের কাছ থেকে আরও রেভিনিউ আদায়ে নতুন প্রস্তাব আহ্বান করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাবস্ক্রিপসন, প্রোগ্রাম, কন্ট্রিবিউসন অথবা নতুন ডিজিটাল পণ্য এবং সেবা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
গুগল নিউজের বার্তা প্রধান সূত্রে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও অন্যান্য টেক ইন্ডাস্ট্রির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি জমা পড়া প্রকল্প প্রস্তাবগুলো থেকে সেরা কিছু প্রস্তাব বাছাই করবেন।
গুগল জানিয়েছে, ডিজিটাল সময়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোয় সাংবাদিকতার মান আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চলছে। গুগল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক ও প্রকাশকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। সংবাদ প্রকাশে একটি নতুন ব্যবসায়ীক মডেল দাঁড় করাতে ইয়াঙ্গুন থেকে ম্যানিলা, সিডনি থেকে দিল্লি পর্যন্ত তারা বিভিন্ন পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কিছু গণমাধ্যমের দাবি, খবর পড়ার জন্য কর ধার্য করা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত (ইইউ) বেশ কয়েকটি দেশে আলাপ-আলোচনা চলছে। এরকম হলে ইইউ অঞ্চল থেকে গুগল তার নিউজ সার্ভিস সরিয়ে নিতে পারে। তাই নতুন বাজার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রতিষ্ঠানটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দিকে ঝুকছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন