নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৯ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ফেসবুকে তার ব্যবহারকারীদের নিজের পছন্দের শীর্ষে কী আছে তা ভিজুয়ালি দেখাবে তাদের বিজ্ঞাপনগুলোর মাধমেই। ফেসবুক যেভাবে আপনি ব্যবহার করছেন, তার উপর ভিত্তি করেই প্রদর্শন করা হয় বিজ্ঞাপন।
ব্যবহারকারীরা কোন পেজে বেশি সক্রিয়, কোন ধরনের জিনিস বেশি পোস্ট করেন বা কিসে বেশি লাইক দেন- তার উপর ভিত্তি করে একটি তালিকা তৈরি করে ফেসবুক। এই তালিকা অনুসারেই ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
কিছুদিন আগে ‘পিউ রিসার্চ’ এর একটি গবেষণায় অনুসারে, ফেসবুকের এই তালিকা তৈরির ব্যাপারটি আমাদের অনেকেরই অজানা। তাদের একটি জরিপে অংশ নেওয়া ৭৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তালিকা তৈরির বিষয়টি তারা জানেন না। আবার ৩৭ শতাংশ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের হিসাব রাখাটা কিছুটা বিব্রতকর।
এই তালিকার বিষয়ে ফেসবুক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জকে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ইন্টারনেটভিত্তিক বিজ্ঞাপন কীভাবে কাজ করে তা ব্যবহারকারীদের বোঝানো জরুরি। কারণ ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর ডাটা ও প্রাইভেসি নিয়ে গেলো বছরে বেশ সমালোচনার মুখে ছিল ফেসবুক। অনেক বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানও ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে এখন সাহস পায় না। ফলে বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুকের আয় কমে গেছে অনেকটাই।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন