নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ২২ জানুয়ারী, ২০১৯
স্মার্টফোন দিয়ে তো আমরা কতোকিছুই করছি এখন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোন ছাড়া যেন চলেই না। আপনার স্মার্টফোন এখন যদি পায়ের জুতাকেও চালায়, তাহলে তো আর কোনো কথাই থাকলো না। স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ করবে আপনার জুতাকে- শুনতে অবাক লাগলেও সেটা সত্যি হতে চলেছে।
বিশ্বখ্যাত স্পোর্টস ওয়্যার ব্র্যান্ড নাইকি নিয়ে এসেছে স্মার্টফোন কন্ট্রোলযুক্ত নতুন স্পোর্টস শু। নতুন এই জুতার ফিতা আছে, কিন্তু সেটা আপনাকে কসরত করে বাঁধতে হবে না। আপনার এবং আপনার পায়ের অবস্থানের সঙ্গে নিজেকে ঠিকই মানিয়ে নেবে নাইকির এই স্মার্ট জুতা।
আপনার খেলার সময়ে একরকম, যখন হাঁটবেন বা বসে থাকবেন তখন আপনার সময় অবস্থান বুঝে জুতার ফিতা নিজেকে পরিবর্তন করে নেবে। এই স্পোর্টস শু হলো সেল্ফ লেসিং। প্রযুক্তির ভাষায় ‘পাওয়ার লেসেস’ বলা হচ্ছে। আপনার হাতের স্মার্টফোনের বাটনটি চেপেই মুহূর্তের মধ্যে জুতার ফিতা লাগাতে, খুলতে, টাইট বা ফিটিং করে নেওয়া যাবে।
বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের কথা মাথায় রেখেই নাইকির এই জুতাটি তৈরি হয়েছে। তবে শুধু বাস্কেটবল নয়, অন্য বিভিন্ন খেলোয়াড়দের কথাও এখন চিন্তা করা হচ্ছে।
জুতাটি চার্জেবল। প্রতি জোড়া জুতার জন্য একটি করে রিচার্জিং ম্যাট থাকবে। যেটা জুতার সঙ্গেই বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এই জুতাটি পাওয়া যাবে। দাম ধরা হয়েছে ৩৫০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আসছে ফেব্রুয়ারিতে এটি বিশ্ববাজারে আসতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন