নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯
প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের এখন প্রশ্ন আর উত্তর জানার জন্য কাউকে জিজ্ঞেস করে নিতে হয় না। প্রশ্নোত্তরের জন্য এখন আলাদা প্ল্যাটফরমই তো রয়েছে, যার মধ্যে বিশেষ করে ‘কোরা’র নাম তো নিতেই হয়। আমাদের জন্য আশার কথা হলো এই কোরা এবার চালু হয়েছে বাংলায়। ফলে এখন বাংলা ভাষাতেই এখান থেকে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানা ও প্রশ্ন করা যাবে।
গেলো ডিসেম্বরেই কোরার পরীক্ষামূলক বাংলা সংস্করণ কিছু নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করা হয়। এবার সেটি পুরোপুরি চালু করা হলো।
বর্তমান সময়ে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ কোরা ব্যবহার করেন। মোবাইল ফোন ও ওয়েবসাইট থেকে কোরা বাংলা ব্যবহার করতে-
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ায় পাঁচটির বেশি ভাষায় কোরা চালু রয়েছে। এটি চালুর পর থেকেই প্রযুক্তি বিশ্বের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কোরা প্ল্যাটফরমে ব্যবহারকারীদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারা। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফ্লিপকার্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শচীন বানসাল, উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলসসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন কোরাতে।
কোরা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে, ফেসবুকের সাবেক প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা অ্যাডাম ডি অ্যাঞ্জেলোর হাত ধরে। কোরার প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে। ইংরেজি ছাড়াও এটি স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ইতালিয়ান, জাপানিজ ও ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় চালু রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন