নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯
এ বছরেই বিশ্ব মাতানো ফোল্ডেবল ফোন আসছে, এই ধারণা গত বছর থেকেই প্রযুক্তিবিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো। এরই মাঝে রয়োল কোম্পানি বিশ্বে প্রথম ফোল্ডেবল ফোন নিয়ে এসেছে। স্যামসাংও এই বছরে ফোল্ডেবল ফোন আনতে যাচ্ছে। জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমিও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ বছরই ফোল্ডেবল ফোনের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।
শাওমির ফোল্ডেবল ফোনের একটি টিজার ভিডিও বের হয়েছে। শাওমির প্রেসিডেন্ট ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা লিন বিন ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওটি পোস্ট করেছে চীনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট উইবোতে। তার হাতেই ফোনটি দেখা যাচ্ছে।
তবে ফোনটিকে খুব একটা বড় বা ছোট মনে হচ্ছে না। খোলা থাকা অবস্থায় এটি ট্যাবলেট এবং ভাঁজ করলে ফোন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। শাওমি এটাকে বলছে ডুয়েল ফোল্ডিং প্রযুক্তির ফোন। ট্যাবলেট থেকে ফোনে কনভার্ট করতে চাইলে দুইপাশে অল্প করে চাপ দিয়ে ভাঁজ করতে হবে। এতে নিজে থেকেই ফোনের ইউজার ইন্টারফেস বদলে যাবে।
এই ফোনটিতে অন্য ফোনের মতোই লম্বা স্ক্রিনেই সব কাজ করা যাবে। এর পাওয়ার বাটনটি একপাশে। আর ভাঁজ করা অবস্থায় পাওয়ার বাটনটি উপরে চলে যাবে। তবে প্রোটোটাইপ সংস্করণ বলে এর কোনো ক্যামেরা চোখে পড়েনি।
প্রকাশিত পোস্টে লিন বিন জানান, ফোনটি তৈরিতে বিভিন্ন টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জ ছিল। ফোল্ডিং ডিসপ্লে, ফোল্ডেবল হিঞ্জ, ফ্লেক্সিবল কভার ও ইউজার ইন্টারফেস অ্যাডাপশন চ্যালেঞ্জগুলো করেই এই ফোনটি সবার সামনে আসতে যাচ্ছে। বিশ্বের প্রথম ডুয়েল ফোল্ডিং প্রযুক্তির ফোনটির পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে এখনো। ক্রেতাদের কাছে ইতিবাচক সাড়া পেলেই ফোনটির উৎপাদন শুরু হবে।
তবে ফোল্ডেবল ফোনটির এখনো কোনো নাম ঠিক হয়নি। তবে ফোনটির নাম এমআই ডুয়েল ফ্লেক্স বা এমআই মিক্স ফ্লেক্স হতে পারে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন