নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২০ পিএম, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯
সাধের মুঠোফোনটি বছরখানেক ধরে ব্যবহার করছেন? ভাবছেন আরও বছর দুয়েক এটা দিয়েই চালিয়ে নেবেন? এমন মানুষ আপনি একা নন। বিশ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন এমনটাই করে থাকেন। আর এর ফলেই আইফোন এবং স্যামসাংয়ের মতো জায়ান্ট টেলিকম কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় ধস নেমেছে। আর কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্তাদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। কিন্তু সাধারণ একজন প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারকারী হিসেবে এতে আপনার হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর বদলে আপনি বরং লাভের আশাই করতে পারেন।
আইফোনের বিক্রি কমতে থাকায় অ্যাপল ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকে তাদের রেভিনিউ এস্টিমেট কমিয়ে এনেছিল। আর এর ধাক্কাটা লেগেছে তাদের শেয়ারের দামে। এ বছর জানুয়ারির ৩ তারিখে তাদের শেয়ার মূল্য প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। শুধু অ্যাপলই নয়, তাদের পণ্য ও সেবা সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মূল্যেও ধস নেমেছে।
মোবাইল ফোন প্রস্তুতুকারী আরেক জায়ান্ট স্যামসাংও সম্প্রতি জানিয়েছে তাদের সেলফোন বিক্রি আগের থেকে কমে গেছে। বাজার বিশ্লেষকরাও একই সুরে কথা বলছেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ মোবাইল সেট বিক্রি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। গত ১০ বছরে এ ঘটনা এবারই প্রথম ঘটলো। এটা কি সেলফোনের ধারণা পুরনো হয়ে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে?
সেলফোনের উন্নয়ন ও গবেষণায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে কোম্পানিগুলো। থ্রি-ডি ফেস স্ক্যানার ও উন্নত ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি যুক্ত করা হচ্ছে মোবাইলের সঙ্গে। এতোকিছুর পরেও মোবাইল সেটের বিক্রি কমে যাওয়াটা হতাশাজনকই বটে। কিন্তু যারা নতুন সব প্রযুক্তি পেতে চান তারা এতে আশাবাদী হতেই পারেন।
প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতারা এখন হয়তো বুঝবেন যে শুধুমাত্র মোবাইলের পেছনে গাদা গাদা অর্থ বিনিয়োগ করার দিন ফুরিয়ে আসছে। নতুন কোনো প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতে চাইছে বিশ্ববাসী।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন