নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭
সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এই তালিকায় প্রথম স্থানে আছে ব্যাংকক এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জাকার্তা।
‘উই আর সোশ্যাল’ এবং ‘হটস্যুট’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকায় ফেসবুক ব্যবহারকারী দুই কোটি ২০ লাখ। ঢাকার আশপাশের এলাকার ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরও এই জরিপে রাখা হয়েছে।
দেশের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী যুক্তরাষ্ট্রে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের কাছে পৌঁছেছে ইন্টারনেট। বর্তমানে বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে।
সাশ্রয়ী স্মার্টফোনের ব্যবহার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছানোর ফলে প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ছে। যে কয়েক শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখনো ফেসবুকের বাইরে আছে তাদেরও ফেসবুকে আনতে চেষ্টা করছে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি।
বিশ্বের অনেকের কাছেই এখন ইন্টারনেট আর ফেসবুকের মধ্যে পার্থক্য নেই। উন্নয়নশীল দেশের অনেকেই ইন্টারনেট বলতে শুধু ফেসবুককেই বোঝেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএফ/ডিআর/আরএস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন