নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০১৯
সারারাত বিভিন্ন বিঘ্নের পরে সকালে অনেকের ফেসবুক ফিরে এলেও এখন কনটেন্ট লোডিং হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে সবাই যে ফেসবুক নিয়ে বিড়ম্বনার মুখে পড়ছে, এমনটাও নয়। আবার অনেকে অ্যাকাউন্ট থেকে ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ আদান প্রদান করতে পারলেও ছবি আর ভিডিও আপলোড করতে পারছেন না।
কোনো কোনো ব্যবহারকারী অ্যাড্রেসবারে ফেসবুক সার্চ করতে গেলে বলা হচ্ছে, ‘দুঃখিত কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি।’
এ বিষয়ে ফেসবুকের হেল্প সেন্টার পেজে বলা হচ্ছে, ফেইসবুকের কাছে জমা থাকা আপনার তথ্য ভাণ্ডারের উন্নয়নে কাজ করছি আমরা। এটা আপনার অ্যাকাউন্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে কিছু সময়ের জন্য আপনি সাইটটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
মনে রাখতে হবে, আমরা একই সময় সব অ্যাকাউন্টে সাইট মেইন্টেন্সের কাজ করি না। হতে পারে আপনি অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারেছেন না, কিন্তু আপনার বন্ধু ঠিকই পারছেন।
এদিকে, ইনস্টাগ্রাম তাদের টুইটার অ্যাকউন্ট থেকে জানানো হয়েছে যে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করা যাচ্ছে।
গতকাল বাংলাদেশ সময় ১০টার পর থেকে সমস্যা দেখা দেয় ফেসবুকে। একই সঙ্গে ফেসবুকের মালিকানাধীন ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামেও কনটেন্ট লোড হতে সমস্যা দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছরের ইতিহাসে ফেসবুকের এমন ডাউন থাকার বিষয় এটাই প্রথম। আগেও ফেসবুক ডাউন হলেও তার সময়ের ব্যাপ্তি এত বেশি ছিল না। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ব্যবহারকারীরাই এই বিড়ম্বনার মুখে পড়েন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন