নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০১৯
স্মার্টফোন জগতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের আরেকটি ফোন আনতে যাচ্ছে। এ৭০ মডেলের ফোন আনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং।
মিডরেঞ্জের এই ফোনটিতে আছে ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে। ১০৮০ বাই ২৪০০ পিক্সেল রেজুলেশন হবে। পেছনে থাকছে ৩২, ৮ ও ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। আর সামনে থাকছে ৩২ মেগাপিক্সেল। ৬ জিবি ও ৮ জিবি র্যাম সংস্করণে পাওয়া যাবে ফোনটি। স্টোরেজে থাকছে ১২৮ জিবি। মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ৫১২ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানো যাবে। ব্যাকআপের জন্য ফোনটিতে থাকছে ৪৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এটি ২৫ ওয়াটের সুপার ফাস্ট চার্জিং সমর্থন করবে।
গ্যালাক্সি এ৭০ ছাড়াও এই সিরিজেরই এ৬০ ফোন আনার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। গত সোমবার চীনের তথ্য ফাঁসকারী ওয়েবসাইটে ফোনটির স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে জানা গেছে।
এই ফোনটিতে থাকছে ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে। রেজুলেশন হবে ১০৮০ বাই ২৩৪০ পিক্সেল। গ্যালাক্সি এম৩০ ফোনের প্রসেসরে রয়েছে এক্সিনোস ৭৯০৪ চিপসেট। ৬ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম এবং ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রমের দুটি ভিন্ন সংস্করণে পাওয়া যাবে ফোনটি। পিছনে থাকছে ১৬, ৮ ও ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। সামনে থাকছে ৩২ মেগাপিক্সেল। ব্যাকআপের জন্য রয়েছে ৩৪১০ এমএএইচ ব্যাটারি। অপারেটিং সিস্টেমে থাকবে অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই। কালো, নীল ও কমলা রঙে ফোনটি বাজারে পাওয়া যাবে।
আগামী ১০ এপ্রিল বাজারে আসার কথা রয়েছে গ্যালাক্সি এ৯০। এর পরপরই গ্যালাক্সি এ৬০ ও গ্যালাক্সি এ৭০ ফোন বাজারে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ফোনদুটির মূল্য সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন